আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বুধবার দীঘিনালায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, ওএলএইচএফ এর প্রকল্প ম্যানেজার স্যুইচিংঅং মারমা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা উপজেলার সম্মানিত উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সীমা দেওয়ান। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য কনিকা চাকমা, রনিকা দেওয়ান ও রহিমা আক্তার প্রমূখ। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার কমিউনিটি ফেসিলিটেঁর এজেন্সি চাকমা।
পরে তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার উদ্দ্যোগে দীঘিনালা উপজেলার শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গনে মানব ব›দ্ধন করা হয়। মানববন্ধনে ্ওএলএইচএফ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কিশোরী কাব হতে নারী ও কিশোরীরা স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন করেন।
নারী সমাজের সৃষ্টিকারী বরনীয় নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সীমা দেওয়ান বলেন, অসাম্প্রাদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পারস্পারিক সম্প্রীতির মাধ্যমে নারী নির্যাতন, সহিংসতা, ধর্ষণ, বাল্য বিবাহ ইত্যাদির বিরুদ্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, নারী সমাজের যে উন্নয়ন তার পিছনে পুরুষ সমাজের সহযোগিতা ও সুযোগ সৃষ্টিকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষদের সহযোগিতা না থাকলে নারী সমাজের আজকের এ অগ্রগতি এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে নারীর অংশগ্রহণ কল্পনা করা কঠিন। পুরুষ সমাজের এ ভালো কাজকে তিনি সাধুবাদ জানান এবং আহ্বান জানান ভবিষ্যত দিনগুলোতে পুরুষ সমাজ যেন সর্বদা নারীদের পাশে থেকে বর্তমান সরকাররের নারী সমাজের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সকল কাজে সহযোগিতা থাকে।
বিশেষ অথিতির বক্তব্যে কনিকা চাকমা পাড়া মহল্লায় নারী নির্যাতন বন্ধে বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের আরও সজাগ হয়ে সমাজের ইতিবাচক দিক সমূহ বিবেচনা করে স্বতস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন, নারীরা নিজেরাই নিজেদের দূর্বল মনে করে। নিজেদের এ দূর্বলতাকে প্রকাশ না করে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন এবং প্রয়োজনে আইনি সহযোগিতা নেয়ার পরামর্শ করেন। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য উপন্থাপন করেন মি. শ্যামল বিকাশ চাকমা, এমিনি অফিসার, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা এবং মেন্টরদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন রুপনা ত্রিপুরা, বোয়ালখালী হেডম্যান পাড়া।
সভাপতির বক্ত্যেবে স্যুইচিংঅং মারমা ওএলএইচএফ প্রকল্পের আগামী চার বছরের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন বলেন এ প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হলে আগামী চার বছর পর অত্র এলাকায় নারী সমাজের আরও অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হবে যা নারী সমাজের অগ্রগতিকে প্রভাম্বিত করবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.