শুক্রবার খাগড়াছড়িতে অপশক্তি প্রতিরোধ দিবস পালন করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
পিসিপির খাগড়াছড়ি জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক টনক চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, দিবসটি উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পেরাছড়া ও ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নে দিনব্যাপী আলোচনা সভা, স্থিরচিত্র প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিতে পিসিপি’র জেলা সভাপতি সমর চাকমার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক নরেশ ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা, পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নীতি চাকমা।
অপরদিকে দুপুর ১২ টায় ভাইবোনছড়া এলাকায় দিবসটি উপলক্ষে একই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নীতি চাকমা ও ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বক্তব্য রাখেন।
গণসংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু করা হয়। কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে ধারাবাহিক লড়াই সংগ্রাম ও বিশ্ব বিপ্লবের গুরুত্বপূর্ণ ছবি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহকে ধ্বংস করার জন্য শাসকগোষ্ঠীর ভাগ করে শাসন করার নীতি অবলম্বন করে হত্যা—গুম—নির্যাতন—ভূমি বেদখলের মত জঘন্য ঘটনা ঘটাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ৩০ অক্টোবর পিসিপি’র তৎকালীন খাগড়াছড়ি জেলা কমিটি ডাকে ডিসি অফিসের সম্মুখে আহূত শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘটে মিছিল সহকারে যাত্রার প্রস্তুতিকালে খেজুড়বাগান মাঠে (বর্তমানে উপজেলা পরিষদ মাঠ) দাঙ্গা পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালালে ছাত্র—জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পুলিশ ৩৮টি টিয়ার শেল নিক্ষেপ, ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে, আধা—সামরিক বাহিনী বিডিআর নামিয়েও জনতার প্রতিরোধ ভাঙতে ব্যর্থ হয়। ছাত্র—জনতার তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ফলে পরবর্তীতে প্রশাসন আটক ছাত্র নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরপর ছাত্র-জনতা নারাঙহিয়া চৌমুহনীতে কারামুক্ত ছাত্রনেতাদের সংবর্ধনা দেয় এবং এই চৌমুহনীকে ‘রেডস্কোয়ার’ নামকরণ করে।
--প্রেস বিজ্ঞিপ্ত।