করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় বিনা পারিশ্রমিকে রাঙামাটি লংগদুতে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
শুক্রবার সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের ২০ থেকে ২৫ সদস্যদের একটি টীম আটারকছড়া ইউনিয়নের ডানে আটারকছড়া গ্রামের কৃষক আলী আকবরের ধান কেটে দেয়।
লংগদু উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল মামুন এর নেতৃত্বে আরো ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাহমুদ, লংগদু মডেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (অপু), আটারকছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মো. মুস্তুজা, আটারকছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাঞ্চন বড়–য়া, ছাত্রলীগ নেতা মো. তানবির, রবিউল ইসলাম, নবী হোসেন, মো. সাকিব, মো. রবিন, হৃদয় শীল, মো. রাজ্জাকসহ উপজেলা, কলেজ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত থেকে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
কৃষক আলী আকবর জানান, জমিতে ধান পেকে গেছে কিন্তু শ্রমিক না পাওয়া ধান কেটে ঘরে নিতে পারছিলাম না। বিষয়টি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কয়েকজনকে বিষয়টি জানালে তারা শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের ভাইয়েরা মিলে আমার প্রায় ২ একর জমির ধান কেটে দিতে সাহায্য করেছে। আমি তাদের সকলকে কৃতজ্ঞ।
লংগদু মডেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (অপু) বলেন, মহামারির সময়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকলকে বাসায় থাকার নির্দেশনা দেয় সরকার। এদিকে ধান পেকে যাচ্ছে অন্যদিকে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় ধান কাটতে পারছে না কৃষক। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা মোতাবেক বিনা পারিশ্রমিকে কৃষকের ধান কেটে দিয়ে কৃষকের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাহমুদ বলেন, করোনার কারনে উপজেলায় ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই উপজেলা ছাত্রলীগের টীম হত দরিদ্র ও কৃষষদের বিনা পারিশ্রমিকে ধান কেটে দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, যতদিন ধান কাটার মৌসুম থাকবে কৃষদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা আমাদের সেবা অব্যাহত রাখবো।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা বলেন, দেশের যে কোন দুর্যোগে ছাত্রলীগ সাধারণ মানুষের পাশে ছিল এখনো করোনা ভাইারাসের কারনে শ্রমিক সংকটে কৃষক ধান কাটতে পারছে না ঠিক তখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও রাঙামাটির সংসাদ দীপংকর তালুকদারের নিদের্শনা প্রতিটি ইউনিট মাঠে রয়েছে এবং কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসছে। যতদিন এই মহামারি থাকবে ততদিন ছাত্রলীগ মাঠে থাকবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.