সাড়াশি অভিযানের মাধ্যমে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অন্তত ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে প্রাপ্ত কয়েকজনের নাম হল, আজাদ, রুবেল, সম্রাট গাজী, জয়নাল আবেদিন, মেহেদী হাসান সাকী, জাহিদুল ইসলাম, ইয়াবা ব্যবসায়ি হাশেম, ধর্মেন্দু চাকমা, বাতু চাকমা ও রাসেল চাকমা।
পুলিশ জানায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের নানামুখি তৎপরতায় তালিকাভূক্ত জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা পার্বত্যাঞ্চলের দিকে এসে আতœগোপন করছে মর্মে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে। এই কারনেই দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় রাঙামাটিতেও ব্লক রেইড অভিযান পরিচালনা শুরু করে রাঙামাটির পুলিশ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে একযোগে পরিচালনা করা হয় সাড়াশি অভিযান। রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ রশিদ ও ডিবি পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ পারভেজ আলী, এসআই মোকাদ্দেছ, এসআই নাজমুল ডিবি এসআই মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে পরিচালিত হওয়া ব্লক রেইড নামক এই সাড়াশি অভিযানের শুরুতেই শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকার হোটেল আল-আমিন (যেটির আগের নাম ছিলো হোটেল লেক ভিউ) থেকে আটক করা হয় সাতজনকে। এসময় তারা সকলেই হোটেলের একটি কক্ষে অবস্থান করে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলায় মত্ত ছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে শহরের প্রবেশ মুখ মানিকছড়ি দিয়ে পাচারের উদ্যোশ্যে চোলাই মদ নিয়ে যাওয়ার দুই পাহাড়ি যুবককে আটক করে পুলিশ। অপরদিকে শহরের কাঠাঁলতলী এলাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ি হাশেমকে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করা হয়।
রাঙামাটি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ শহিদ উল্লাহ জানিয়েছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় রাঙামাটিতে ব্লক রেইড অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সারাদেশের বর্তমানে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি দমনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা হচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। তাই সন্ত্রাসীরা অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ধাবিত হতে নাপারে সেই লক্ষ্যে পুলিশ সুপারের নির্দেশে রাঙামাটি জেলা শহরেও সাড়াশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযান চলমান থাকবে জানিয়ে তিনি সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের সাথে জড়িতদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় জনসাধারনের প্রতি আহবান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.