জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রধান কার্যালয়ের মাইনী মিলনায়তন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব মো: কামাল উদ্দিন তালুকদার। বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সদস্য-পরিকল্পনা মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, বোর্ডের সদস্য-প্রশাসন আশীষ কুমার বড়ুয়াসহ বোর্ডের কর্মকর্মরা। আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন বোর্ডের সদস্য-অর্থ শাহীনুল ইসলাম।
আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড জামে মসজিদের ইমাম জনাব মো: জয়নাল আবেদিন।
এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রধান কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু মুর্যাল এর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অতিথিরা। এসময় এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য অল্প সময়ে মধ্যে একটা ভিত দিয়ে গেছেন, সেটা হল সংবিধান। দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ চালিয়েছেন, এরই মধ্যে তিনি অনেক কিছু করে গেছেন।
তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরে তিন বার পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সফরের এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধু পার্বত্যাঞ্চলের জন্য একটি পৃথক উন্নয়ন বোর্ড, সার্কেল চীফ এবং হেডম্যানদের জন্য সম্মানী হার নির্ধারণ, সুবিধা বঞ্চিত ছাত্রছাত্রীদের জন্য চাকরীতে কোটা ব্যবস্থা, শিক্ষাবৃত্তি, বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য পার্বত্য জনপদের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার প্রদান ইত্যাদি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আরো অনেক কিছু করে ফেলতেন, আজকের তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত কাজসমূহ সমাপ্ত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে চার লেন এর সড়ক উদ্বোধন, পদ্মা সেতু নির্মাণ, শতকরা ৯৫ ভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা সরবরাহ ইত্যাদি কাজের বর্তমান সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে আইন শৃক্সক্ষলা বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য অনুষ্ঠানের উপস্থিত সকলকে অনুরোধ জানান।
বিশেষ অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: কামাল উদ্দিন তালুকদার জানান যে, বঙ্গবন্ধু তিনি নিজেই ঐক্য স্থাপন করে দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছিলেন, এটাই ছিল জাতির পিতার সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।
তিনি আরো বলেন, মানব সমাজকে ভালোবাসার জন্য যে চেতনা দরকার সেটা জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু মধ্যে নিহীত ছিল। বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের অর্থনীতিক মুক্তির জন্য, অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের জন্য কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু আর্দশ, ব্যক্তিত্ব, সততা ইত্যাদিকে আমরা চিরতরে স্মরণ করব বলে তিনি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বোর্ডের সম্মানিত ভাইস-চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, পৃথিবী যতদিন থাকবে বঙ্গবন্ধু ততদিন থাকবেন। বঙ্গবন্ধু কারণেই আজকের আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। বঙ্গবন্ধু দেশের দারিদ্র্য দূর করা জন্য, দেশের মানুষের হাসির ফুটানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। সোনার বাংলার গড়ার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রত্যেকে যার যার অবস্থানে থেকে কর্তব্য ঠিকমত পালনের জন্য তিনি উপস্থিত সকলকে আহবান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.