ঘূর্ণিঝড় ফনির সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় বৃহস্পতিবার রাঙাামটিতে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঘূর্নিঝড়ের প্রাণহানী থেকে রক্ষা পেতে ২১টি শেল্টার সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সন্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশসক এস এম শফি কামাল, শরমিন আলম, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী সহ, জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, রেড ক্রিসেন্ট, জেলা স্কাউট, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক ঘূর্ণিঝড় ফনির সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলার জন্য এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি, বিদ্যুৎ সহ সেনাবাহিনী, বিজিবি স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাসইটির সদস্যদের সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেন।
সভায় বলা হয়, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ফনির গতিপ্রকৃতি ৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূনির্ঝড়ের মত শক্তিশালী হওয়ায় এর তান্ডব পার্বত্য রাঙামাটির উপরও বয়ে যাবার আশংকা বাড়ছে। তাই জানমাল রক্ষার্থে জেলা প্রশাসন যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।
সভায় আরো বলা হয়, ফনি চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রমের পর ঘুর্নিঝড়ের সময় উচ্চগতির বাতাসে পাহাড়ের ঢালে তৈরী কাচাঁ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই গাছপালা ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা বাসাবাড়িতে লোকজনকে না থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ঝড়ের কারনে বাতাসের ছোবলে অগ্নিদুর্ঘটনা যাতে ঘটতে না পারে সে জন্য শহরের রাস্তার আশপাশের সব হোটেল রেস্তোরা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.