মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিলাইছড়িতে বিভিন্ন ক্রীড়া সমাগ্রি ও সাংস্কৃতিক সরঞ্জামসহ নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সহায়তায় বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান, উপ-পরিচালক জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের মোঃ ওমর ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অভিলাষ তঞ্চঙ্গ্যা, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা (অঃদা) প্রদীপ কুমার বড়ুয়া ও উপজেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রহর কান্তি চাকমা প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক থুইপ্রু মারমা। অনুষ্ঠান শেষে ৩ টি সাউন্ড সিস্টেম, ৪৩ টি সেলাই মেশিন, সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক অসহায় ও দুঃস্থ ৩৩ জন এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য গরীব মেধাবী ৩৫ জনকে ৩৫০০ টাকা করে প্রদান করা হয়। এছাড়াও সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন ক্রিড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি হয়েছে বিধায়, তিন পার্বত্য জেলায় পরিবর্তন এসেছে। এ পর্যন্ত যা কিছু অর্জিত হয়েছে শান্তি চুক্তির কারণে। চুক্তির মুল ধারা উপ ধারাগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে বিধায় তিন পার্বত্য জেলায় পরিবর্তন এসেছে। এই উন্নয়নের কৃতিত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার। তার একান্ত সদিচ্ছার কারণে এই পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হতাশাগ্রস্থ জাতি বা ব্যক্তি, আতংকিত ব্যক্তি এবং উত্তেজিত ব্যক্তি কোন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। এখন আমাদের হতাশার সময় নয়, এখন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সময়। চুক্তির ফলে আমরা তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ, এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পেয়েছি। তাই হতাশ হয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়ন হচ্ছে, আর উন্নয়ন হবে। আমাদেরকে সমর্থন দিয়ে এই উন্নয়নের ধারা এগিয়ে নিতে হবে। আর এই উন্নয়নের ধারা যদি অব্যাহত থাকে এই দূর্গম বিলাইছড়ি উপজেলা আর পিছিয়ে থাকবে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পার্বত্য জেলায় সহজে স্কুল ও কলেজ স্থাপনের জন্য দেশের যে নীতিমালা রয়েছে তা কিভাবে শীতিল করা যায় আমাদের থেকে মতামত চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিলাইছড়ি এবং জুরাছড়িতে কলেজ স্থাপনের জন্য নাম প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অচিরেই আমরা বিলাইছড়িতে কলেজ পাবো। এজন্য উপজেলার নেতৃবৃন্দ ও এলাকার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.