জনসংহতি সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র স্মরণে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে মঙ্গলবার শোক সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জন্য সংহতি সমিতি (জেএসএস) এম এন লারমা পন্থী সংগঠনের উদ্যোগে জনসংহতি সমিতির মহালছড়ি থানার সভাপতি নীল রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়ে। শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহালছড়ি উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান থুইলাঅং মারমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জনসংহতি সমিতি খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক প্রিয় কুমার চাকমা। সভা সঞ্চালনা করেন মহালছড়ি যুব সমিতির সভাপতি রতন চাকমা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সন্তোষ কুমার চাকমা, মহালছড়ি উপজেলা শাখার মহিলা সমিতির সভাপতি সুজনতা চাকমা, উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুনীতি চাকমা, সমাজ সেবক কালায়ন তালুকদার, জেএসএস মহালছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ ময় চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ মহালছড়ি উপজেলা কমিটির সভাপতি সুভাষ চাকমা প্রমূখ। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জেএসএস খাগড়াছড়ি পৌর কমিটির সদস্য সুশীল চাকমা।
এর আগে শোক র্যালী সহকারে প্রয়াত এম এন লারমা’র অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পন, কালোব্যাজ ধারণ, এম এন লারমাসহ সশস্ত্র সংগ্রামে যাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাঁদের সকলের আত্মার শান্তি কামনার্থে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, হাজার বাতি দান, আকাশ বাতি দানসহ বিভিন্ন দানাদি ভিক্ষু সংঘকে দান করা হয়ে। সন্ধ্যায় হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও আকাশ বাতি উত্তোলন করার কর্মসূচী রয়েছে।
শোক সভায় বক্তারা প্রয়াত মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা`র স্মৃতিচারণ করে বলেন, এম এন লারমা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার হারা পাহাড়ি জনগোষ্ঠির চেতনার অগ্নিপুরুষ। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে এম এন লারমা যুগে যুগে অমর হয়ে থাকবেন।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের অবিসংবাদিত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর জেএসএস এর বিদ্রোহী অপর একটি দলের গুলিতে নিহত হন। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িরা প্রতি বছর এ দিনে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার স্মরণে জুম্ম জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.