পাহাড়ের সবুজ বনায়নে সামাজিক ও নতুন প্রজম্মকে সংপৃষ্ট করতে হবে। নিবিচারে গাছ কাটা বন্ধের পাশা পাশি সামাজিক ভাবে ফলজ, বনজ ও ঔষধিসহ সবুজ বৃক্ষ রোপন করতে হবে।
রবিবার(১৯ জুলাই) পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে বাস্তবায়নে তিন পার্বত্য জেলাই ১ লক্ষ ৪০ হাজার গাছের চারা রোপন কর্মসূচীর আওয়াতায় জুরাছড়ি উপজেলাই বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্ভোধন কালে বক্তারা একথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের আওয়াতায় বেলা ১১ টায় কিয়াং পাড়া- পাড়া কেন্দ্রে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী উদ্ভোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা। এ সময় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের উপজেলা ব্যবস্থাপক বিনয় কৃষ্ণ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে পৃথক ভাবে ডেবাছড়া পশ্চিম পাড়া-২ পাড়া কেন্দ্রে ফলজ চারা রোপন উদ্ভোধন করেন জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা। এ সময় লুলাংছড়ি মৌজার হেডম্যান আনন্দ মিত্র দেওয়ান, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের সহকারী ব্যবস্থাপক নির্মল চন্দ্র চাকমা, মাঠ সংগঠক জনি চাকমা, উর্মিলা চাকমা, পাড়া কর্মী বেবী চাকমা ও অন্তরা চাকমাসহ স্থানীয় কার্ব্বারী, কিশোরীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের আওয়াতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। পাড়া কর্মীদের মাধ্যমে বৃক্ষরোপনে পাহাড়ে সবুজ বিপ্লব তৈরী করবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন পাহাড়ে দিন দিন সবুজ বনায়ন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে প্রাকৃতিক ঝুকি মধ্যে রয়েছে পাহাড়। এই ঝুকি থেকে বাঁচতে ও আগামী প্রজম্মকে বিশুদ্ধ পরিবেশ উপহার দিতে সবাইকে সামাজিক বনায়নের পাশাপাশি ফলজ,বনজসহ সবুজ বননায়নে উৎসাহিত হতে হবে।
টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের উপজেলা ব্যবস্থাপক বিনয় কৃষ্ণ চাকমা জানান, জুরাছড়িতে ১৩১টি পাড়া কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪ হাজার ৫শ ৮৫টি ফলজ, বনজ, ঔষধী চারা রোপন করা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক ভাবে সবুজ বনায়নে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.