লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ত্রিশডেবা মার্মা পাড়া থেকে সোমবার রাতে এক বৃদ্ধের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম মাংরউ(৫৫)। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মংচাচিং মার্মা(২৮) পিতা অংকে থোয়াই মার্মা নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গেল বুধবার মাংরউ ম্রো তার বর্গা জমির খাজনা নিতে ত্রিশডেবা এলাকায় যান এবং রাতে সেখানে অবস্থান করেন। ত্রিশডেবা এলাকার ক্যওলাঅং মার্মা (৩০) তার জমির বর্গা চাষী। বৃহস্পতিবার সকালে চাষা ক্যওলাঅং মার্মা থেকে জমির খাজনা ১৯ হাজার ২শত টাকা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় মাংরউ ম্রো এর পিছনে পিছনে মংচাচিং কে যেতে দেখেন গয়ালমারা ত্রিপুরা পাড়ার রবার্ট ত্রিপুরা ও গয়ালমারা এলাকার দোকানদার আবুইয়ার মা । সে থেকে নিখোঁজ রয়েছেন মাংরউ ম্রো।
এ দিকে বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় নিহতের পরিবারের লোকজন আশপাশের চারদিকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। শুক্রবার নিহতের ছেলে মেন থাম ম্রো ত্রিশডেবা পাড়ায় মাংরউ এর খোঁজে আসলে তারা জানতে পারেন টাকা নিয়ে বাড়িতে চলে যাওয়ার সময় মংচাচিং মার্মা নিহত মাংরউ ম্রো`র পিছনে পিছনে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে মংচাচিং মার্মাকে আটক করে প্রথমে স্থানীয় বনফুর বিজিবি ক্যাম্পে হস্তান্তর করে। তার বাড়ী লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ত্রিশডেবা মার্মা পাড়ায়।
নিহত মাংরউ ম্রো (৫৫) কার্বারী (পাড়া প্রধান) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বাকঁখালী হেডম্যান পাড়ার মৃত রইনা মুরুং এর ছেলে।
লামা থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ কামাল হোসেন, খুনের সন্দেহে ত্রিশডেবা মার্মা পাড়ার অংথোয়াই মার্মার ছেলে মংচাচিং মার্মাকে (২৫) রবিবার রাতে এলাকাবাসী আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সোপর্দ করে। মংচাচিং মার্মাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের দায় স্বীকার করলে তাকে নিয়ে লাশ উদ্ধার অভিযানে গিয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মুরুং ঝিরির আগা থেকে মাংরউ ম্রো` গলাকাটা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
লামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান,১৯হাজার ২শত টাকার লোভে মাংরউ ম্রোকে হত্যা করে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে মংচাচিং মার্মা। মাথা এখনো পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মঙ্গলবার মংচাচিং মার্মার বিরুদ্ধে লামা থানায় একটি হত্যা রুজু করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.