দেশী ও বিদেশী ব্যক্তি বা সংস্থা পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ীদের সাথে সাক্ষাত বা বৈঠক করতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনাবাহিনী,বিজিবির উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং বিদেশী নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেয়ার সিদ্ধান্তকে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পার্বত্য নাগরিক সমাজ। এতে নেতৃবৃন্দ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।
শুক্রবার পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের পক্ষে গৌতম দেওয়ানের স্বাক্ষরিত পৃথক এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভের কথা জানানো হয়েছে।
প্রেস বার্তায় দাবি করা হয়, গত ৭ জানুয়ারী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সভায় কোন দেশী-বিদেশী ব্যক্তি/সংস্থা কর্তৃক পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ীদের সাথে সাক্ষাত কিংবা বৈঠক করতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসনএবং সেনাবাহিনী/বিজিবির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং সাধারণ বিদেশী নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণ করতে চাইলে অন্ততএকমাস পূর্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে অনুমতি নিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। দেশের অপরাপর অঞ্চলে বিদেশী নাগরিকদের ভ্রমণে অনুমতি নিতে হয় না। সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেলায় অনুমতি নেয়ার আইন জারি করা বৈষম্যমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। এছাড়া কোন দেশী-বিদেশী ব্যক্তি বাসংস্থা কর্তৃক পাহাড়িদের সাথে সাক্ষাত করার সময় স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনাবাহিনী/বিজিবির উপস্থিতি নিশ্চিত করার বিষয়ের সিদ্ধান্তটি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর জন্য শুধু দুর্ভাগ্যজনক ও আপমানজনকই নয়, এটি একটি পক্ষ পাতদুষ্ট, বৈষম্যমূলক ও বর্ণবাদী সিদ্ধান্ত। এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী জনগোষ্ঠীরা রাষ্ট্রের কাছে আস্থাভাজন নয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.