এবার ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে পর্যটকদের আশানুরুপ সাড়া মিলেনি। ফলে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক না আসায় কিছুটা হতাশও হয়েছেন পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা ।
জানা গেছে, ঈদুল ফিরতের চেয়ে ঈদুল আযহাতে সব সময়ই পর্যটকদের সমাগম কম হয়ে থাকে। কোরবানির ঈদে কম-বেশি বেশিরভাগ মুসলিম পরিবার পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন, এ ব্যস্ততার কারণে অনেকেই বাহিরে বেড়াতে আসেন না। আবার এবার বৃষ্টিপাত ও রোদের তাপে ভারী গরমের কারণে পর্যটক না আসাও অন্যতম একটি কারণ। আবার বিশেষত সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ও আসন্ন এসএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেও অনেক মানুষ এবারের ঈদে পাহাড়ে বেড়াতে আসেননি। সোমবার ও মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য সময়ের মতো এবার পর্যটকদের তেমন আনাগোনা তেমন ছিল না। যারাই এসব পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন তারা স্থানীয় ও জেলার পাশ্ববর্তী লোকজন। অনেকেই ঈদের ছুটিতে পরিবারের লোকজনকে একসঙ্গে সময় দিতে এখানে ছুটে এসেছেন।
এদিকে, শহরের আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলো অন্যান্য বছরে টানা ছুটি ও ঈদের সময়ে শতাধিক বুকিং থাকলেও এবার ৬০-৭০ শতাংশে বেশি রুম বুকিং হয়নি বলে জানা গেছে। অন্যান্য বছরের মতো পর্যটকদের চাপ ছিল না এবার। বর্ষা মৌসুমের কারণে সুবলং জলপ্রপাতে পানি থাকায় পর্যটক ও স্থানীয়দের একটি অংশ কাপ্তাই হ্রদ ও সুবলং ঝর্ণায় ঘুরেছেন। তবে রৌদ্রের খরতাপের কারণে সাধারণত হ্রদে ট্যুরিস্ট বোট নিয়ে ঘুরতে কম দেখা গেছে পর্যটকদের।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জুমঘর ইকো রিসোর্টের স্বত্ত্বাধিকারী জেরি লুসাই জানান, মঙ্গল ও বুধবার সাজেকের মোটামুটি রিসোর্ট-কটেজগুলো বুকিং আছে। এর আগের দিনগুলোতে ৫০ শতাংশের বেশির ভাগই খালী পড়ে ছিল। আবার দুদিন পর থেকেও এই দশা হবে। এবারের ঈদে সাজেকে খুব বেশি চাপ ছিল না পর্যটকদের।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, সোমবার পর্যটকদের সংখ্যা কম হলেও মঙ্গলবার লোকজনের আগমন বেড়েছে। তার মোটেলের ৬০ শতাংশ রুম বুকিং রয়েছে। গেল দুদিনে পর্যটন ঝুলন্ত সেতুতে গড়ে এক-দেড় হাজার মানুষ টিকেট কেটে প্রবেশ করেছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের রাঙামাটি অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সারওয়ার হোসেন জানান, এবারের ঈদে বৃষ্টি ও গরমের কারণে মোটামুটি অন্যান্য সময়ের তুলনায় পাহাড়ে পর্যটকদের সমাগম কম হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা পাইনি। ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.