আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা একটি অবিস্বরণীয় নাম। ৭১’এর স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় প্রায় ২০লাখ বাংলাদেশী শরণার্থী ভারতের এই ছোট্ট রাজ্যটিতে আশ্রয় নিয়েছিল। মুক্তি বাহিনীর অসংখ্য ট্রেনিং ক্যাম্প আর অসহায় শরণার্থীদের আশ্রয়স্থলগুলো ওই সময় ছিল লোকে লোকারণ্য। “আগরতলা ষড়যন্ত্র” মূলক রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনকে করেছিল বেগবান।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হোসাইন তৌফিক ইমাম সংক্ষেপে এইচ টি ইমাম (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা) রামগড়ে এক স্মৃতিচারণ সভায় বলেছিলেন, আগরতলা না থাকলে মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারত। অর্থাৎ আগরতলা মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভারতের এই ক্ষুদ্র রাজ্যটির নামকরণ জড়িয়ে রয়েছে মহাভারতের সময় কাল থেকে। বলা হয়ে থাকে ভূমি অধিষ্ঠাত্রী দেবী ত্রিপুরা সুন্দরীর নামানুসারে এর নামকরণ। এ ছাড়া রাজ্যের আদিবাসীদের ককবরক ভাষা থেকেও ত্রিপুরা নামকরণ হয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন।
অপর এক ব্যাখ্যায় রয়েছে পৌরানিক রাজা ত্রিপুরের নামানুসারে বর্তমান ত্রিপুরা রাজ্য। এই রাজ্যের রাজত্বকালের রয়েছে আড়াই হাজার বছরের ১৮৬ রাজা-রানীর রাজ্য শাসনের ইতিহাস ( সূত্র: রাজমালা গ্রন্থ )। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর নৈসর্গিক সৌন্দয্যের লিলাভূমি এই রাজত্বে পর্যটকদের দুর্বার আকর্ষণ এক অন্যরকম মাত্রা পেয়েছে। প্রাচীন হিন্দু ও বৌদ্ধ স্থাপত্যের প্রত্নত্ব নিদর্শনস্থল ও মন্দির, সমৃদ্ধ অভয়ারণ্য-ইকো পার্ক ও প্রাচীন রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ গুলোকে ঘিরে পর্যটকদের উপস্থিতি এ অঞ্চলকে করেছে সরগরম।
এ ধরনের একটি ঐতিহাসিক জনপদ ঘুরে দেখার ইচ্ছে ভ্রমন পিপাসুদের চির দিনের। যেখানে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, আবেগ, অনুভূতি জড়িয়ে আছে এবং বলা যায় একেবারে বাড়ির পাশের ইতিহাস প্রসিদ্ধ এই স্থানটিতে ঘুরে বেড়াতে কে না চায় ? নিশ্চিতভাবে বলা যায় বেশ ভালই লাগবে সবার। এই তথ্যটি আপনাদের জানিয়ে রাখি বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর ত্রিপুরাকে খুব ভালোবাসতেন। ত্রিপুরা রাজার আমন্ত্রনে তিনি সাতবার এখানে এসেছিলেন।
চলুন আজ আমরা ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা ও এর আশপাশ থেকে ঘুরে আসি। খুব অল্প বাজেটে বিদেশ ভ্রমনের জন্য চমৎকার জায়গা। পরম পরাক্রমশালী মুঘল আমলেও ত্রিপুরা ছিল স্বাধীন কিন্তু ইংরেজ আমলে করদ রাজ্য। ১৯৭২ সালের ২১ জানুয়ারী ভারতের পূর্ণ রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি পায় ত্রিপুরা।
হঠাৎই পূজোয় ত্রিপুরা ভ্রমনের সিদ্ধান্ত নিই। আমি ও বন্ধুু অসীম পাল রামগড় থেকে বিলোনিয়া (মুহুরি ঘাট ) হয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করি ০৭ অক্টোবর ’১৬ ঠিক ষষ্ঠী পূজোর দিন। বিদেশের মাটিতে প্রথমেই আমাদের মুগ্ধ করে অমর একুশের ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার। সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০গজ সামনে এগুলেই বিলোনিয়া বাজারের প্রবেশ মুখে এর অবস্থান। বাংলার সূর্য সন্তান অকুতোভয় ভাষা সৈনিক শহীদ রফিক,শফিক,সালাম,জব্বার-এর নামাঙ্কিত শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে দুই বন্ধু বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি তাঁদের গৌরবগাঁথা। অতপর দুপুরের খাবার খেয়ে বাস ষ্টেশন থেকে আঁকা বাঁকা পাহাড়ি রাস্তায় যখন রাজধানী আগরতলায় পৌঁছি তখন রাতের অন্ধকার । বাসে সময় লাগে তিন-সাড়ে তিন ঘন্টার মতো। হোক না ভারতের ক্ষুদ্র রাজ্যগুলোর একটি বাংলাদেশের বাইরে সবচেয়ে কাছের রাজধানী শহরতো এটিই।
আখাউড়া হয়ে আধ ঘন্টারও কম সময়ে আগরতলা পৌঁছা যায়। একেবারেই নতুন আসা তার ওপর রাতের অন্ধকার। কী করি ভাবতে ভাবতেই এক টমটম (ব্যাটারি চালিত তিন চাকার গাড়ি) চালকের সাহায্যে হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা হই। সে কামান চৌমুহনী আমাদের হোটেল দেখিয়ে দেয়। যে হোটেলটিতে অবস্থান নিই এটির নাম শান্তি আবাসিক হোটেল। ভাড়া খুব একটা বেশি নয় সহনীয় পর্যায়ের মধ্যেই। পাশেই খাবারের দোকান। পাঁঠার মাংস ৫০০, খাসির ৮০০ এবং বড় আকৃতির স্থানীয় রুই-কাতল কেজি ৫০০ রুপি।
এলাকার নাম কামান চৌমুহনী কেন ? হোটেল মালিক সঞ্চিব কুমার সাহা’র কাছ থেকে পরে জেনেছি, ঐতিহাসিক কামান আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ট্যাংক যেটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মিত্র বাহিনী ব্যবহার করেছিল। চার রাস্তার সড়ক দ্বীপে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এর থেকেই জায়গাটির নাম কামান চৌমুহনী। আমরা সবাই জানি ত্রিপুরার মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।
যে কয়দিন আগরতলা ছিলাম ঘুরে ঘুরে ছোটখাট ছিমছাম শহরটিকে দেখেছি। বেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। উচ্চ অট্রালিকার ছোঁয়া পায়নি এখনো আগরতলার আকাশ। পূজোর মৌসুম হওয়ায় যথেষ্ট ভিড় মনে হয়েছে। সবার লক্ষ্য তিন কোটি টাকার দুর্গা প্রতিমা দর্শন। প্রতিমার ছবি ও ভিডিও তে মুহূর্তেই ভর্তি আমাদের মেমোরি কার্ড।
ভীড় হলেও সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে দেখলাম। গভীর রাত পর্যন্ত লোকজনের চলাচলে এতটুকু কমতি নেই। রাতে প্রথম যেখান থেকে টমটম চালকের সঙ্গে হোটেলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি দিনের আলোয় দেখলাম আগরতলার প্রথম উড়াল সেতুর কাজ চলছে। খোঁজ নিয়ে জানলাম, উমাকান্ত অ্যাকাডেমি থেকে ত্রিপুরা দূর্দশন কেন্দ্র পর্যন্ত ২.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ নির্মিয়মান উড়াল সেতুটি যুক্ত হবে ভারতের ৪৪নং জাতীয় মহাসড়কে।
হোটেল থেকে পায়ে হেটেই ত্রিপুরা ভ্রমনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান ত্রিপুরা রাজার প্যালেস (রাজ প্রাসাদ) যাওয়া যায়। ২০ একর জমির ওপর শ্বেত শুভ্র রাজবাড়ি। এটির নাম উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ। ভেতরে দুটি বড় দিঘি রয়েছে। খুবই সুন্দর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাজ প্রাসাদ। সামনে ফুলের বাগান, পাশেই জগন্নাথ মন্দির। বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর আগরতলা আসলে কুঞ্জবন বিহারে থাকতেন, এখন এটি রাজ্যপালের আবাসস্থল।
জানা যায়, একশ ষোল বছরের পুরোনো এই প্যালেস। ১৯০১ সালে তৎকালীন রাজা রাধা কিশোর মানিক্য এটি তৈরি করেন। এক ফাঁকে আগরতলা বিমান বন্দর ও প্রধান রেল ষ্টেশন ঘুরে এলাম। আগরতলা বিমান বন্দরটি এ রাজ্যের প্রধান বিমান বন্দর। এখান থেকে কোলকাতা, দিলি¬, ব্যাঙ্গালুরু, শিলচর, গুয়াহাটি, চেন্নাইসহ বিভিন্ন রাজ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে। এখানে আরও তিনটি খোয়াই, কমলপুর ও কৈলাশহর বিমান বন্দর আছে। বিমানে কলকাতা থেকে মাত্র ৪৫ মিনিটে আগরতলা পৌঁছানো যায়। ত্রিপুরা থেকে রেলে কোলকাতা যেতে সময় লাগে ৩৮ ঘন্টা। ষ্টেশন গিয়ে জানা গেল প্রতি শনি ও মঙ্গলবার কলকাতার ট্রেন এখান থেকে ছাড়ে। কলকাতা পর্যন্ত ভাড়া ৬০০ টাকা ।
আমাদের দ্বিতীয় গন্তব্য ত্রিপুরার এক সময়ের প্রাচীন রাজধানী উদয়পুর। আগরতলা থেকে দুরুত্ব ৫৫ কিলোমিটার। ৪০০ বছর আগে এই উদয়পুরই ছিল ত্রিপুরার প্রাচীন রাজধানী। অমরপুর থেকে এখানে রাজধানী স্থানান্তর করা হয়। আর ১১শ বছর আগে অমরপর ছিল ত্রিপুরার প্রাচীনতম রাজধানী। উদয়পুর এসে হোটেল গৌরীতে ওঠি। বেশ পরিপাটি এই হোটেলের ভাড়া আগরতলার মতই। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এখানে বোর্ডারদের জন্য রয়েছে খাবারের আয়োজন । আগেই ভেবে রেখেছি উদয়পুর গিয়ে বিশ্বখ্যাত মা কালীর মন্দির আর ত্রিপুরা রাজার গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ নীর মহল দেখবো।
উদয়পুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মা কালির মন্দিরটি অবস্থিত। মহারাজা ধান্যমানিক্য ১৫০১ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। মাতা ত্রিপুরেশ্বরী নামে মন্দিরটি পরিচিত। হিন্দুদের পবিত্র ৫১ পিঠের এটি একটি। মন্দিরের ভেতর দুটি দেবী মূর্তি একটি ত্রিপুরা সুন্দরী অন্যটি ছোট মা নামে পরিচিত। এই মন্দির প্রাঙ্গনটি অবিকল কূর্ম (কচ্ছপ ) এর মত হওয়ায় “কূর্ম পিঠ” নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। মন্দিরের পাশে কল্যাণ সাগর নামে একটি দিঘি আছে।
এখানে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ ও নানা জাতের মাছ দেখেছি। মন্দিরে আসা পূণার্থীরা অশেষ কল্যাণ কামনায় এদের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করে। বন্ধু অসীমকে নিয়ে একদিন মন্দিরে পূজো দিলাম। মা’কে দর্শনের অনেক দিনের আকাঙ্খা পূর্ণ হয়েছে। মনটা এক অপার প্রশান্তিতে ভরে গেল। উদয়পুরের নামকরা পেড়া সন্দেশ কেজি ৪০০ রুপীতে কিনেছি। উদয়পুর দুইদিন ছিলাম। এখানে বেশ কয়েকটি বিশাল বিশাল দিঘি আছে।
মেলাঘর নামক স্থানে অবস্থিত ত্রিপুরার একটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক দর্শনীয় স্থান নীরমহল। নীর অর্থাৎ জলের মাঝ খানে মহল হওয়ায় এর নামকরণ হয় নীরমহল। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই মেলাঘর-এ বড় একটি মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প ছিল।
হোটেল থেকে বাসে মেলাঘর আসতে ঘন্টা খানেক সময় লেগেছে । প্রথমবার রাত হয়ে যাওয়ায় নীর মহল ঢুকতে পারি নি। তাই দ্বিতীয় বার একটু আগেভাগেই ইঞ্চিন চালিত নৌকায় চেপে বসি। ভূ-ভাগ থেকে দশ মিনিটে আমরা মহলে পৌঁছে যাই। ৪০ মিনিট মহলে থাকা যায়। অতিরিক্ত সময়ের জন্য আলাদা ফি লাগবে।
পুরো মহলটি ঘুরে খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের আমলে অনিন্দ্য সুন্দর এই মহলটি তৈরি করা হয়। ইংল্যান্ডের মার্টিন এন্ড বার্ন কোম্পানি ১৯৩০ সালে কাজ শুরু করে ১৯৩৮ সালে প্রাসাদটির কাজ সম্পন্ন করেন। মেলাঘরে রুদ্র সাগর নামে একটি বিশাল হৃদ আছে। এর আয়তন প্রায় ৫.৩ বর্গ কিলোমিটার। ঠিক মাঝখানে ত্রিপুরা রাজার গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনের জন্য এটি নির্মাণ করা হয়। প্রাসাদের দুটি অংশ । মূল অংশ পশ্চিম পাশে এবং পূর্বে নিরাপত্তাবাহিনীর দুর্গ। মহলের ভেতর বিশ্রাম ঘর, খাজাঞ্চি খানা ও নাচঘরসহ ৫টি বড় কক্ষ। দাবা খেলার আলাদা কক্ষ এবং রানী ও অন্যদের জন্য অন্দর মহলে ৬টি বড় কক্ষ দেখলাম। এর বাইরে আড্ডা ঘর, সভা ঘর ও রান্না ঘরতো রয়েছেই। প্রাসাদের ভেতর একটি বাগানও রয়েছে।
রাজা-রানী হৃদে বেড়ানোর জন্য মোটর চালিত নৌকা ব্যবহার করতেন। মহলটি এমনভাবে তৈরি বেড়ানো শেষে অন্দর মহলের সিঁড়ি পযন্ত সরাসরি নৌকা চলে আসতো। প্রাসাদের বাইরের দিকে দুটি ঘাট যেখানে কর্মচারীরা স্নান করত। মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর মাত্র সাত বছর এটি ব্যবহার করতে পেরেছেন। কারণ মাত্র ৩৯ বছর বয়সে রাজার অকাল মৃত্যু হয়। বর্তমানে রাজপ্রাসাদটি ত্রিপুরার তথ্য, সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের অধীন একটি আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র।
আমাদের শেষ গন্তব্য সাবরুম বাজার। এর বরাবর দক্ষিণ পাড় বাংলাদেশের রামগড়। মাঝ খানে ফেনী নদীটি প্রবাহিত। এই নদীটিই এখানকার সীমান্ত রেখা। সাবরুম বাজারে বাংলাদেশী মোবাইল কোম্পানী গুলোর নেটওয়ার্ক সক্রিয় বলেই মনে হল। নদী পাড়ে এসে রামগড় ও খাগড়াছড়ির বাংলাদেশী বন্ধুদের সঙ্গে কথা হলো।
রামগড়ের মহামুনি ও সাবরুমের আনন্দপাড়া হয়ে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু নিমার্ণের স্থান সাবরুমের ডা.কার্তিক পাল ও ব্যবসায়ী পরিমল দেবনাথ ঘুরিয়ে দেখালেন। সাবরুমের দুই সাংবাদিক বন্ধু মান্না চৌধুরী ও বন্ধন দাশ ও বাংলাদেশের শিবব্রত চক্রবর্তী ত্রিপুরা ভ্রমনের বিষয়ে নানা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
আয়তনের দিক থেকে ত্রিপুরা ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র। এর উত্তর, পশ্চিম দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব অংশে রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান আর পূর্ব ভাগে অপর দুই রাজ্য আসাম ও মিজুরাম। ত্রিপুরার আয়তন ১০ হাজার ৪৯২ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের এক চতুর্থাংশ আয়তনের এই রাজ্যটির লোকসংখ্যা প্রায় ৩৯লাখ।
এবার অল্প সময়ের ভ্রমনে খুব ব্যস্ত সময় কাটিয়েছি। আগ্রহ থাকা সত্বেও সময়ের অভাবে আগরতলা বিশ্ববিদ্যালয় যেতে পারি নি । আগামীতে আগরতলা হয়ে শিলচর গুয়াহাটি যাওয়ার ইচ্ছে আছে। সেসময় আরও বিস্তারিত জানাব। সময় ও সুযোগ হলে ঐতিহাসিক রাজধানী আগরতলা একবার ঘুরে আসতে পারেন।
--লেখক-শ্যামল রুদ্র, সাংবাদিক,রামগড়,খাগড়াছড়ি,মোবাইল-01818940937, skrudra11@gmail.com.