করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে খাগড়াছড়িতে দোকানপাট বন্ধ ও রাস্তাঘাট ফাঁকা রয়েছে। দৃশ্যত রাস্তাঘাটে জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে সরকারের দশ দিনের ছুটির ঘোষনার পর খাগড়াছড়ি জেলা শহরের রাস্তাঘাট ফাকা অবস্থায় বিরাজ করছে। শহওে মুদি দোকান. ঔষধের দোকান ও কাচা বাজার খোলা থাকলেও অন্যান্য সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। লোকজন প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না। অপ্রয়োজনে যাচ্ছে না একজনের ঘর অন্যজন। আর বন্ধ রয়েছে গ্রামে অধিকাংশ দোকন পাট।
এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় নেমেছে। তারা মাইকিং করে মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছেন। মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের আর্থিক দন্ড দিচ্ছেন তারা।
অপরদিকে খাগড়াছড়িতে আইসোলেসনে থাকা এক জনের রোগী মারা যাওয়ায় আতংকের পাশাপাশি সচেতনতা বেড়েছে লোকজনদের। নতুন করে ৫৪জনসহ হোম কোয়ারেন্টনে রয়েছেন ১৩৪ জন। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের মধ্যে হাসপাতালের ২জন জন চিকিৎসক, ২জন নার্স,একজন আয়ওা রয়েছেন।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডাঃ নুপুর কান্তি দাশ জানান খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে মারা যাওয়া যুবকের শ^াসকষ্ট ছিলো। তিনি শ^াস কষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবু সর্তকতার কারনে করোনা সন্দেহে আইসোলেসনে ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাত ৮ টার দিকে মারা যান তিনি। তার রক্তের নমুনা আইসিসিডিয়ারে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট আসলে জানা যাবে।
তিনি আরো, মারা যাওয়া ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া দুইজন চিকিৎসক,দুই জন নার্স ও একজন আয়াকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রির্পোট নেগেটিভ এলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। খাগড়াছড়ি পুলিশ প্রশাসনের প্রধান খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার জানান পুলিশ প্রশাসন স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিভিল প্রশাসনের সাথে করোনা মোকাবেলা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে জানান তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.