হরিণ জবাই করে মাংস ও চামড়া পাচারের অভিযোগে নিরীহ তিন জনের বিরুদ্ধে বন বিভাগের মিথ্যা মামলা ও একজনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে সংবাদ সন্মেলন করেছেন ভাসান্যাদম ইউনিয়নের গ্রামবাসী।
রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয় সন্মেলন কক্ষে সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন গ্রামবাসী মোঃ ইউনুস মিয়া। এসময় বক্তব্যে দেন ভাসান্যাদম ইউনিয়নের গ্রামবাসী মোঃ নাজির আলী, রহমত আলী দুলাল, মোঃ আবু রায়হান ও নূও বানু।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, গেল ৭ মার্চ লংগদু উপজেলার ভাসান্যাদাম ইউনিয়নের ৫নং ভানান্যাদাম গ্রামে ২৪ কেজি ওজনের একটি সাম্বার হরিণটি হত্যা করেন আব্দুল মান্নানসহ আরো কয়েকজন। পরে তারা গ্রামের ছাইদুল ইসলামের বাড়ীর উঠানে হরিণটি জবাই করেন। কিন্তু যারা হরিণটি হত্যা ও জবাই করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করে নিরীহ গ্রামবাসী ছাইদুল ইসলাম, আব্দুল আলিম ও আজিজুল হককে আসামী কওে মিথ্যা মামলা দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ। এর মধ্যে সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে জেল হাজতেও পাঠিয়ে দিয়েছে। অন্য দুই আসামী বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
সংবাদ সন্মেলনে আরো বলা হয়, হরিণ জবাই করে মাংস খেয়ে ফেলার অভিযোগ এনে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তারা নির্দোষ ও তারা ঘটনার সাথে জড়িত নয়। অবিলম্বে প্রকৃত ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে ও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে মুক্তিসহ বন বিভাগের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের কাচালং বন শুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়ি ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম মোটা অংকের বিনিময়ে প্রকৃত আসামীদের আড়াল করা হয়েছে অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা।
তিনি বলেন, গেল ৭ মার্চ কাচলং সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ফাঁদ পেতে বিলুপ্ত একটি সাম্বার হরিণ ধরে হত্যা করে ভাসান্যাদামে নিয়ে গিয়ে মাংস ও অন্যান্য অংশ পাচারের চেষ্টা করছিল। গোপণ সংবাদেও ভিত্তিতে খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণের মাংস ও অন্যান্য অংশ বস্তায় বন্দী করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে। এসময় একজনকে আটক করতে পারলেও বাকীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অনেক গ্রামবাসী জড়িত রয়েছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তে আরো যারা এ কাজে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.