প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুরা যাতে নিজেদের ভাষায় লেখাপড়া করতে পারে তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তবে এ ভাষায় শিশুদের লেখাপড়া করাতে যে শিক্ষক সংকট রয়েছে তা দুরীভূত হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কিমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
শনিবার রাঙামাটি তাকে ও বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরুস্কারে ভূষিত হওয়ায় সংর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বরেন, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরুস্কারে ভূষিত কবি ও সাহিত্যিক মৃত্তিকা চাকমা শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের নয় সারাদেশের একজন কৃতি সন্তান ও শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তাকে অনুসরণ করে ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আরো অনেক অনেক গুনি ব্যক্তি উঠে আসবেন।
তিনি বলেন, আমাদের মাঝে দেশের প্রতি যে জাতীয়তাবোধ তৈরী হয়েছে তা আরো ধীরে ধীরে অগ্রসর হবে এবং দেশের একজন নাগরিক হিসেবে যেসব অধিকার রয়েছে তা চর্চা করতে হবে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা অনেকেই তুলেছেন তা পরিস্থিতি বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে পারি তাহলে এ অস্থিরতা অতিক্রম করা যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহায়ক ফাউন্ডেশন ট্রাষ্টের সভাপতি দীপক বিকাশ চাকমা। সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, চাদঁ রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বৌদ্ধ এসোসিয়শনের সহ-সভাপতি আনন্দ মোহন চাকমা, পার্বত্য শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহায়ক ফাউন্ডেশন ট্রাষ্টের উপদেষ্টা সুশীল প্রসাদ চাকমা ও অভয় প্রকাশ চাকমা। বক্তব্য দেন কবি শিশির চাকমা, মনির আহমেদ, জগৎজ্যোতি চাকমা, হীরালাল চাকমা প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে সংবর্ধিত অতিথি দীপংকর তালুকদার এমপি ও বাংলা একাডেমীর পুরুস্কার প্রাপ্ত মৃত্তিকা চাকমাকে ক্রেস প্রদান করে সন্মানা দেওয়া হয়।
কবি মৃত্তিকা চাকমা বলেন, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরুস্কারে তাকে সন্মানিত করায় এ সন্মান তার একার নয় এ সন্মান সারা পার্বত্যবাসীর।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.