খাগড়াছড়িতে “পাহাড়ঞ্চল উপযোগী বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের জাত সমূহের পরিচিতি এবং ধানের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি” শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ ও উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি ইনস্টিটিউট(বিনা)র গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ কর্মসূচির আওতায় খাগড়াছড়ি বিনা উপকেন্দ্র কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এর আয়োজন করা হয়। শনিবার সকালে এ প্রশিক্ষণ ও উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি ইনস্টিটিউট (বিনা) ময়মনসিংহ-এর মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মির্জা মোফাজ্জল হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, পাহাড়িঞ্চলের চাষীদের চাহিদা পূরণে কাজ করছে সরকার। খাগড়াছড়িতে বিনা ধান ১৯ ও ২১ জাতের উদ্ভাবন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও জাত এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করার আশ^াস দেন প্রধান অতিথি।
খাগড়াছড়ি বিনা উপকেন্দ্রের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কৃষিবিদ এবিএম শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুন্সী রাশীদ আহমদ ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মর্ত্তুজ আলী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা পাহাড়ে আমন ও বিনা ধানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এসব জাতের ধানের চাষ করা গেলে এলাকার চাষীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। একইসাথে পুষ্টি গুণের চাহিদাও পূরণ হবে।
প্রশিক্ষণে ৬৫ কৃষক অংশ নেন। পরে তাদের মাঝে বিভিন্ন প্রকারের সার বিতরণ করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর