পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের চতুর্থ সংঘরাজ ও সাদা মনের মানুষ উপাধিপ্রাপ্ত শ্রীমৎ তিলোকানন্দ মহাথেরোর মরদেহটি বিশেষ কফিনে(পেটিকাবদ্ধ) সংরক্ষণ করা হয়েছে। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার মরদেহ বিশেষ কফিনে(পেটিকাবদ্ধ) সংরক্ষণ করা হয়। তাঁর মরদেহটি বাঘাইছড়ি উপজেলার মগবান শাক্য মুনি বৌদ্ধ বিহারের রাখা হবে।
রুপকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সহ-সভাপতি সুমনালংকার মহাস্হবিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি পার্বত্য পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, বাঘাইছড়ি উপেজলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুদর্শ চাকমা, খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুমানা আক্তার। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সুপ্রদীপ চাকমার শোক বার্তা পড়ে শুনান নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা। স্বাগত বক্তব্য দেন মগবান শাক্য মুনি বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ শান্তজ্যোতি মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ভক্ত ও পূর্নার্থীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দুপুরে পুরে মায়ানমার সরকার কর্তৃক "অগ্রমহাপন্ডিত " এর ভূষিত, কাচালং শিশু সদনের প্রতিষ্ঠা ও মগবান শাক্য মুনি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সংঘরাজ প্রয়াত তিলোকানন্দ মহাথেরোর মরদেহ অনুষ্টানিকভাবে বিশেষ কফিনে সংরক্ষন করা হয়। এর পর পর ভিক্ষু সংঘ, শিষ্য ও ভক্তরা ফুল দিয়ে শ্রদ্বা জানান। বিশেষ কফিনে পেটিকাবদ্ব করে রাখার সংঘরাজের মরদেহটি বাঘাইছড়ি উপজেলার মগবান শাক্য মুনি বৌদ্ধ বিহারে ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
বিহার পরিচালনা কমিটি জানিযেছে।এক অথবা দুই বছরের মধ্য আনুষ্ঠানিকভাবে অন্ত্যষ্টিক্রিয়ার সম্পন্ন করা হবে।
উল্লেখ্য, গেল ২ নভেমম্বর সংঘরাজ শ্রীমৎ তিলোকানন্দ মহাথেরো পরলোক গমন করেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে কিডনি, ডায়াবেটিসহসহ নানান জটিল রোগে ভুগছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে গরীব,অনাথ ও অসহায় শিশুদের শিক্ষা-দীক্ষায় অনাথালয় ও বিহার প্রতিষ্ঠিত করে মানব সেবায় অবদান রাখায় ২০০৭ সালে এটিএন বাংলা তাঁকে “সাদামনের মানুষ” নির্বাচিত করে। ২০১১ সালে তিনি পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের চতুর্থ মহাসংঘরাজ পদে অভিষিক্ত হন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.