মঙ্গলবার সকালে তন্যাছড়ি পাড়া কেন্দ্রে ক্লাস্টার পরবর্তী আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পাড়া কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক মঞ্জু মানস ত্রিপুরা। তন্যাছড়ি -২ পাড়া কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সঞ্জীব কুমার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরকল প্রেসক্লাবের সভাপতি বিহারী চাকমা ও প্রকল্পটির উপজেলা ব্যবস্থাপক চিজিমনি চাকমা। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নিরতবরণ চাকমা, সহকারি প্রকল্প ব্যবস্থাপক জুথিকা চাকমা, তন্যাছড়ি গ্রাম প্রধান বীরো রঞ্জন কার্বারি, স্থানীয় মুরুব্বী চন্দ্র বিহারী চাকমা, ও পাড়াকেন্দ্রের ভুমি দাতা আনন্দসেন চাকমা।
এর আগে সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক জুথিকা চাকমা ও মাঠ সংগঠক সোমারাণী চাকমার নেতৃত্বে পাড়াকর্মীরা ক্লাস্টার সভায় তাদের কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরেন। শুরুতে তন্যাছড়ি-২ পাড়া কেন্দ্রের পাড়াকর্মী প্রহেলী চাকমা শিশুদের নিয়ে ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি পাঠ পরিচালনা করেন এবং পরিচয় পর্ব উপস্থাপন করেন।
সুবলং ইউনিয়নের বরুনাছড়ি মৌজার বিভিন্ন পাড়ায় অবস্থি পাড়া কেন্দ্রের কর্মী, মাঠ সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সুবলং ইউনিয়নের বরুনাছড়ি মৌজার বিভিন্ন পাড়ায় অবস্থি পাড়াকেন্দ্রের কর্মী, মাঠ সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় পাড়াকর্মীরা জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক তাদের এলাকায় পাড়া কেন্দ্র ও ক্লাস্টার সভা পরিদর্শন করায় ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জু মানস ত্রিপুরা সুস্থ সবল মেধাবী জাতি গঠনে পাড়া কেন্দ্র তথা পাড়াকর্মীদের ভুমিকা অপরিসীম। উন্নত ও সমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়তে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও ইউনিসেফ যৌথভাবে এ প্রকল্প পরিচালনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, কিশোরী কল্যাণ, শিশু সুরক্ষা, উন্নয়নের জন্য জন্য যোগাযোগ, মাতৃস্বাস্থ্য, ওয়াটার ও স্যানিটেশন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা সৃষ্টির মত যুগান্তকারী কার্যক্রম এলাকায় আশার আলো ছড়াচ্ছে। পাড়াকেন্দ্র এখন গ্রামবাসীর ভরসাস্থল। মেধাবী জাতি গঠনে কিশোর-কিশোরী ও মায়েদের যত্ন ও সচেতনতা সৃষ্টিতে পাড়াকর্মীরা অনন্য অবদান রাখছে তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়- মেধাবী জাতি গঠনে পাড়াকর্মীদের ভুমিকা অপরিসীম।
তিনি আরো বলেন,মানব কল্যাণে পাড়া কর্মীদের নিবেদিত হয়ে কাজ করা উচিত। অহমিকা না করে মানব কল্যাণে কাজ করাই হলো মানব ধর্ম। সৎচিন্তার মাধ্যমে সৎকাজ করলে এক সময় সেই সুফল পাওয়া যায়। পাড়াকর্মীরা নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলে ধীরে ধীরে এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকাদান কর্মসুচি, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন, জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন বলেও মন্তব্য করেন। পাড়াকর্মীরা সুন্দরভাবে কাজ করলে এ প্রকল্প একদিন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
--হিলবিডি২৫/সম্পাদনা/সিআর.