• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
বন বিভাগের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সন্মেলন                    বিলাইছড়িতে আগুনে ৬টি বসতঘর পুড়েছে, আহত ১                    পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস কর্মসূচি পালন                    রাবিপ্রবি’তে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত                    বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধীতে বিজিবির মহাপরিচালকের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন                    রাঙামাটিতে নতুন সিভিল সার্জন ডাঃ নূয়েন খীসা                    রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের দরপত্র প্রকাশ নিয়ে গোপণীয়তার অভিযোগ                    কাপ্তাইয়ে গাছ কাটার অনুমতি না থাকায় ব্রীজ নির্মাণে অশ্চিয়তা                    সুখ-শান্তি কামনায় বালুখালীবাসীর মহাসংঘদান                    বরকলে অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু, ১৪ জন অসুস্থ, এলাকায় আতংক                    রাঙামাটিতে জেনারেল হাসপাতালের সাথে সনাকের অ্যাডভোকেসি সভা                    গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি                    স্বপ্ন প্রতিবন্ধীর সভাপতি ত্রিনা চাকমা ও সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী                    ঘাতক ট্রাক প্রাণ কেড়ে নিল রাঙামাটি সরকারি কলেজের মেধাবী শিক্ষাথী সালেহিনের                    চ্যাম্পিয়ন লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ                    রাঙামাটিতে ড.রামেন্দু শেখর দেওয়ান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন                    রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত,আহত ২৭                    পানিতে ডুবে লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীর মৃত্যু                    পাহাড়ে অসহায় ও গরীব মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসায় সেবায় দুদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন                    রাঙামাটির রিজার্ভ মুখ এলাকায় অগ্নিকান্ডে ২টি বসতঘর পুড়েছে                    পাহাড়ে বন রক্ষায় ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ড্রোন প্রযুক্তি সংযোজনের উদ্বোধন                    
 
ads

বরকল খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় অফিস নয় যেন গোয়াল ঘর

পুলিন বিহারী চাকমা,বরকল : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 23 Jun 2019   Sunday

এটি গোয়াল ঘর নাকি সরকারি   ভবন, তা চেনার উপায় নেই। কাছে গিয়ে জরাজীর্ণ ভবনের দেয়ালে ঝাপসা লেখায় ঝুলানো সাইন বোর্ড পড়লে জানা যায় এটি একটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। এ জরাজীর্ণ  ভবনটি হচ্ছে রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস কক্ষ। 

 

 জানা যায়,বরকল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসটি ১৯৬৪ সালে এ একতলা পাকা ভবনটি নির্মিত হয়। নির্মানের ৫৫বছর পরেও এ অফিস ভবনটি মেরামত কিংবা সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে ভবনটির দেয়াল গুলো ছত্রাকে আক্রান্ত করে কালো রঙের হয়ে গেছে। দেয়ালের রং ও প্লাষ্টার খসে পড়ছে। ভবনের ছাঁদ নানা ধরনের ঘাস গুল্ম ও ঝোঁপ জঙ্গলে পরিপুর্ন হয়ে গেছে। ভবনের চারি পাশে অসংখ্য ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। যা ভবনের ভিতরে থাকা বা অফিসের দাপ্তরিক কর্মকান্ড করা সম্ভব নয়। অফিস ভবনে দাপ্তরিক কর্মকান্ড যেমনি করার পরিবেশ নেই তেমনি থাকার ও কোন ব্যবস্থা না থাকায় চরম বিপাকে করেছে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। যার কারনে উপজেলা খাদ্য বিভাগের দুজন নৈশ প্রহরী পদের কর্মচারী কর্মস্থলে উপস্থিত থাকলেও  বাকী কর্মকর্তা কর্মচারীরা মাসে দু একবার কর্মস্থলে আসেন। বাকী দিন গুলো জেলা সদরে বসে দাপ্তরিক কর্মকান্ডের কাজ গুলো ছাড়েন। ফলে এ জন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরটির সমস্যা দেখারও কেউ নেই।

 

এ ব্যাপারে খাদ্য বিভাগের জরাজীর্ণ অফিস ঘরের নানা সমস্যার কথা স্বীকার করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মন্টু মনি চাকমা জানান- ১৯৬৪ সালে খাদ্য বিভাগের অফিস ভবনটি নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ ৫৫বছরেও এ অফিস ভবনটি মেরামত সংস্কার কিংবা পূনঃ নির্মানের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগ। ফলে জরাজীর্ণ অফিস ভবনটি যেন গোয়াল ঘরে পরিণত হয়েছে। এতে অফিসে বসে যেমনি কাজ করা যাচ্ছেনা তেমনি থাকার ও ব্যবস্থা নেই। জেলা সদর থেকে উপজেলা সদরে এসে কাজ সেরে আবার বাড়িতে ফিরতে হয়। এতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আর্থিক মানসিক ও শারিরীক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হতে হচ্ছে বলে তিনি জানান। 

 

এতো দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলার এ খাদ্য বিভাগের অফিস ঘরটি সংস্কার বা পূনঃ নিমার্ণ কেন করা হয়নি জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন জানান- বরকল খাদ্য বিভাগের অফিস কক্ষটি সহ জেলার আরো কয়েকটি খাদ্য অফিসের করুন অবস্থার কথা লিখিত ভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ও প্রতিমাসে জেলার সমন্বয় মিটিংয়ে বার বার উত্থাপন করা হয়। কিন্তু বরাদ্দ না আসায় নতুন করে নির্মান করা যাচ্ছেনা। খাদ্য বিভাগের ভবন এলজিইডি গন পূর্ত বিভাগ সহ অন্য কোন সরকারি দপ্তর থেকে নির্মাণ করার কোন সুযোগ নেই। শুধু মাত্র সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগের পরিদর্শন উন্নয়ন ও পরীক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগের উন্নয়ন কাজ করা হয়। বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতায় অন্য বিভাগে কাজ চলছে। চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য বরাদ্দ আসলে রাঙামাটির উপজেলার জরাজীর্ণ ভবন গুলোর কাজ করা হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ