কাপ্তাই বন রেঞ্জের আওতাধীন রামপাহাড় বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে তিনদিনে কয়েক লাখ টাকার মুল্যবান সেগুন গাছ পাচার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার খবর পেয়ে কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌছালেও মাত্র তিনটি গাছ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। অবশিষ্ট মূল্যবান গাছ রাতের অন্ধকারে নদীপথে পাচার হয়ে গেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতের সুযোগে সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা গত ১০-১২ অক্টোবর পর্যন্ত তিনদিনে রাম পাহাড় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৭ ও ২৮নং দাগের পুরাতন মুল্যবান সেগুন গাছ পাচার করে। পাচারকারীরা এ বাগান থেকে ৯/১০টি সেগুন গাছ কর্তন করে পার্শ্বস্থ কর্ণফুলী নদী পথে পাচার করে নেয়। মূল্যবান গাছ পাচার করা হলেও রহস্যজনক কারনে বিট ও রেঞ্জের সংশ্লিষ্ট কারোও নজরে বিষয়টি ধরা পড়েনি। সূত্র আরো জানায়, গাছ পাচারের বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরে গত শনিবার সহকারী বন সংরক্ষক, কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ সহ বন কর্মচারীগণ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে তারা খবর পাওয়ার আগেই সিংহভাগ গাছ পাচার হয়ে গেছে। পাচার হওয়া গাছের আনুমানিক মূল্য ১০-১২ লাখ টাকা বলে সূত্রের দাবী। এ ব্যাপারে গত শনিবার রাতে মূঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ জানান, ২৭নং দাগের ২টি ও ২৮নং দাগের ১টি গাছ তারা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছেন। পাচারকারীরা তেমন গাছ পাচার করতে পারেনি বলে তিনি জানান।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে রামপাহাড় বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে লাখ লাখ টাকার সেগুন গাছ পাচার হয়ে আসছে। এক শ্রেণির বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাযোসের কারনে পাচার অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ১৯৯৯ সালে সৃজনকৃত ১৫০ একর নতুন সেগুন বাগানের ৩/৪ ফুট বেড়ের প্রায় ৫০ হাজার গাছ উজাড় হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যা সরেজমিনে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হলে এর যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে অপর একটি সূত্র জানায়। উল্লেখ্য, বন সম্পদ পাচার কাজে জড়িত থাকার অপরাধে গত ৯এপ্রিল ২০১৮ তারিখ কাপ্তাই বনরেঞ্জের আওতাধীন রাম পাহাড় বিটের ৫ কর্মকর্তা কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরা হলো বিট কর্মকর্তা ফরেষ্টার নির্মল, ফরেষ্ট গার্ড মামুন, দেলোয়ার, জাহাঙ্গীর ও এমএলএসএস সুজিত বড়–য়া।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.