কক্সবাজারে উপকুল সুরক্ষায় সুপার ডাইক নির্মাণের জন্য কক্সবাজার সদর উপজেলার ৬নং চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের বসবাসরত অসহায় রাখাইন সম্প্রদায়ের বসত-ঘর, বৌদ্ধ মন্দির ও শ্মশান পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বেআইনীভাবে অধিগ্রহন করে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবীতে সোমবার রাঙামাটিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে রাখাইন সম্প্রদায়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে সভাপতিত্ব করেন রাখাইন সম্প্রদায়ের সদস্য ও সাংবাদিক উচিংছা রাখাইন। বক্তব্যে রাখেন, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এ কে এম মকছুদ আহম্মেদ, বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মংচোয়াং অভি, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি রাঙামাটি জেলার সভাপতি টুকু তালুকদার, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও উইভ এর নির্বাহী পরিচালক নাই উ প্রু মারমা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার টেকসই উন্নয়ন ও উপকূল সুরক্ষার জন্য এক শত বছরের “ডেলটা প্ল্যান” এর আওতাধীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় “সুপার ডাইক” নির্মাণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের এই মহৎ উদ্যোগকে আমরা সম্মানের সাথে স্বাগত জানাই। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ ও সুপার ডাইক নির্মান করা হলে কক্সবাজার জেলার চৌফলদন্ডীতে ৪শ বছর ধরে বসবাসরত রাখাইন সম্প্রদায়ের ১২০টি পরিবার, ৩টি শ্মশান ও ৩টি বৌদ্ধ বিহার উচ্ছেদ হয়ে যাবে।
বক্তারা রাখাইন সম্প্রদায়ের যে স্থানে বেড়িবাঁধ ও সুপার ডাইক নির্মান করা হবে, সেখানে নির্মান না করে বিকল্প পরিকল্পনা গ্রহন করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.