বৃহস্পতিবার জুরাছড়ি উপজেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৯টায় শোক র্যালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অস্থায়ী নির্মিত প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন জুরাছড়ির সর্বস্তরের লোকজন। পরে একটি শোক র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ন সড়কে প্রদক্ষিণ করে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, বিশেষ অতিথি ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিপাশ খীসা, জুরাছড়ি, বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যানগণসহ সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকন, রচনা, হামদ-নাত প্রতিযোগীর বিজয়ীদের পুরুস্কার বিতরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে- জুরাছড়ি উপজেলায় সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে র্যালী, আলোচনা সভা, পুরুস্কার বিতরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেছেন। নতুন প্রজম্মকে তার আর্দশকে ধারণ করে সোনার বাংলায় তৈরীর কাজ করতে হবে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম এ হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সে দিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতা এবং সব মহতী আকাংখাকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। মুছে ফেলার অপপ্রয়াস চালিয়ে ছিল বাঙালির বীরত্ব গাথার ইতিহাসকেও। অবশ্য খুনিদের সেই ষড়ষন্ত্র ঠিকেনি। বাঙালি ও বিশ^বাসীর মানসপটে বঙ্গবন্ধু আজও স্বমহিমায় উজ্জল, চিরভাস্বর।
বক্তারা বলেন, জাতি এখন প্রতিক্ষার প্রহর গুনছে বঙ্গবন্ধুর বাকি ছয় পলাতক খুনির ফাঁসি কার্যকরের মাহেন্দ্রক্ষণের।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.