পাহাড়ে বিভিন্ন স্থানে গ্রাফিতি মুছে দেওয়ার প্রতিবাদে গানে গানে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রোববার রাঙামাটিতে আদিবাসী সাংস্কৃতিক কর্মীরা প্রতিবাদী গান, নৃত্য ও কবিতার মাধ্যমে এ প্রতিবাদ জানান। এসময় আদিবাসী সাংস্কৃতিক কর্মীরা পাহাড়ে বৈষম্যর মুক্তির দাবী করেছেন।
গানে গানে হোক প্রতিবাদ শ্লোগানে আদিবাসী সাংস্কৃতিক কর্মী ব্যানারে আয়োজিত শহরের জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গনে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী রঞ্জিত দেওয়ান। কর্মসূচিতে গণসংগীত, রণ সংগীত, দেশাত্মবোধক গান আদিবাসী কণ্ঠ শিল্পীদের পরিবেশনা ছাড়াও প্রতিবাদী নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়। প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন পাহাড়ের অন্যতম কণ্ঠ শিল্পী পার্কি চাকমা, জোনাকি চাকমা, রুবেল চাকমা, পূর্ণশংকর চাকমাসহ রাঙামাটির সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীরা। এসময় সাংস্কৃতিক কর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত ফেষ্টুন ফেষ্টুন প্রদর্শন করেন।
অংশ গ্রহনকারী সাংস্কৃতিক কর্মীরা জানান, দেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন সফল হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো বৈষম্যে মুক্তি হয়নি। পাহাড়ের অধিকারাহারা মানুষের কথা বলতে সাংস্কৃতিক কর্মীরা এক পতাকাতলে হাজির হয়ে গানে গানে প্রতিবাদ করতে এসেছেন। এসময় তারা কর্মীরা আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সংগীত বিষয়ে জাতীয় পাঠ্য পুস্তকে অর্ন্তভুক্তকরণ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটের পরিবর্তে আদিবাসী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট করাসহ চার দফা দাবী জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.