বহুল আলোচিত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমার অপহরণ মামলার রোববার রাঙামাটির বিচারিক আদালতে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ মামলার পরবর্তী শুনানীর আদেশ অপেক্ষামান রয়েছে।
বাদীর পক্ষে আইনজীবি জুয়েল দেওয়ান জানান, রাঙামাটি জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট স্বর্ণ কমল সেন আদালতে কল্পনা চাকমার আপহরণ মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীকালে বাদীর পক্ষে আইনজীবি জুয়েল দেওয়ান, এ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা, মামলার বাদী ও কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালেন্দী কুমার চাকমা ছাড়াও তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি কোর্ট ইন্সপেক্টর মোঃ আজম, পুলিশ উপ পরিদর্শক গণেশ শীলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো জানান, গেল ২০১৬ সালের তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ সুপার চুড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছেন তার বিরুদ্ধে আমরা না রাজির আবেদন জানিয়েছি। কারণ তদন্তে আদালতের যে নির্দেশনা ছিল তা যথাযথভাবে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসেনি। যার প্রেক্ষিতে ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে পুনরায় অধিকতর তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ আবেদেন প্রেক্ষিতে রোববার এ শুনানী অনুষ্ঠি হয়েছে। তবে এ মামলার পরবর্তী শুনানীর আদেশ অপেক্ষামান রয়েছে।
তিনি জানান, শুনানীতে আদালতে কাছে যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে তা আদালতের দেওয়া চারটি নির্দেশনা কোনটাই প্রতিফলন না করার কারণে মামলার প্রকৃত তথ্য ও সত্য উদঘাটনের যেগুলো প্রয়োজন সেগুলো কোনটাই তদন্তকারী কর্মকর্তা করেননি। তাই বিজ্ঞ আদালতের কাছে না রাজি আবেদনে উপস্থাপন করেছি। এতে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক দীর্ঘক্ষণ বক্তব্যে শুনেছেন।
তিনি আরো জানান, মামলার এ পর্ষন্ত ৩৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল করা হয়েছে। অপহৃত কল্পনা চাকমা কার দ্বারা অপহরণ হয়েছেন তার উদঘাটনের দায়িত্ব পুলিশের। কিন্তু সেটা উদঘাটন করা সম্ভব হচ্ছে না। কাজেই কোনটাই না করায় মানবধিকার ও মৌলিক অধিকারের লংঘন ও ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যতয় ঘটছে। তাই অপহরনের মামলা প্রকৃত তদন্ত ও সত্য উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের চিহিৃত করে যথাযথ বিচার করা হোক।
মামলার বাদী কল্পনার বড় ভাই কালিন্দী কুমচার চাকমা জানান,১৯৯৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্ষন্ত মামলা চলে আসলেও রাষ্ট্রপক্ষ মামলা রায় এখনো দিচ্ছেন না। পাশাপশি মামলায় প্রকৃত দোষীদের নাম মামলায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি। চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে আদালতের কাছে না জারি দাবী আবেদন জানিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য বিচার বিভাগী তদন্তের আবেদন জানিয়েছি। তিনি এ মামলার একটি সুষ্ঠ বিচারের কামনাও করেন।
উল্লোখ্য,১৯৯৬ সালের ১২জুন রাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা লাইল্যা ঘোনা নিজ বাড়ী থেকে কল্পনা চাকমা অপহৃত হন। ২০১৬ সালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাঙামাটির পুলিশ সুপার তদন্তের চুড়ান্ত রিপোর্ট রাঙামাটি আদালতে পেশ করেন। তবে কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা এ মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে না রাজির আবেদন জানিয়ে মামলার অধিকতর তদন্তের আবেদন জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.