• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, সহায়তা প্রদান                    খাগড়াছড়িতে দোকান ভাংচুর ও লুটপাট মামলায় ৫ জন আটক                    খাগড়াছড়িতে বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদেরসহ নারী ও কিশোরীদের মাতৃ ও বয়:স্বন্ধ্যিকালীন স্বাস্থ্য চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ                    খাগড়াছড়িতে সংঘাত, নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে সম্প্রীতি সমাবেশ                    পিটুনিতে শিক্ষক নিহত, খাগড়াছড়িতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে, তবে সাপ্তাহিক হাটবারে উপস্থিতি কম                    খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা চলছে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনো থমথমে অবস্থা                    পরিস্থিতি এড়াতে জেলা সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগে খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা                    খাগড়াছড়ির পানছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ নারী ও কিশোরীকে মাতৃ ও বয়:স্বন্ধ্যিকালীন স্বাস্থ্য চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ                    খাগড়াছড়ির মহালছড়ি: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় দুইশত পাহাড়ি ও বাঙালিকে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ বিতরণ                    খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির সহিংস ঘটনার তদন্ড শুরু করেছেন তদন্ড কমিটি                    খাগড়াছড়িতে নিহতদের স্বরনে মোমবাতি প্রজ্জলন                    খাগড়াছড়ির জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে ৭২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ ভালোভাবে কেটেছে সাজেকের পর্যটকরা ফিরবেন আজ( মঙ্গলবার)                    ৭২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন সাজেকে আটকা পড়েছেন প্রায় ১৪শ পর্যটক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত বন্ধ                    উদ্ভুত পরিস্থিতি দেখতে খাগড়াছড়ি পরিদর্শনে সরকারের তিনজন উপদেষ্টা আগামীতে যেন আর ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে: এ এফ হাসান আরিফ                    শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক অবরোধের প্রথমদিন চলছেনা দুরপাল্লার গাড়ি                    খাগড়াছড়িতে যুবককে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা, প্রতিবাদে দীঘিনালায় সহিংসতা নিহত ৩ জন এবং ১০ জনের মত আহত                    খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দু‘পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া লারমা স্কয়ার বাজারে আগুন, পুড়েছে অর্ধ শতাধিক দোকানপাট                    চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫শতাংশ কোটা চালুর দাবীতে রাঙামাটিতে পিসিপির বিক্ষোভ-সমাবেশ                    নতুন রাষ্ট্র সংস্কার ও সংবিধান পুনর্লিখনে ৭২ সালে এমএন লারমার চিন্তা প্রতিফলিত হচ্ছে                    পাহাড়-সমতলের সাথে কোন বিভেদ থাকবে না-সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ                    পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু                    
 
ads

সিএইচটি রেগুলেশন বাতিলের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন

ষ্টাফ রিপোর্টার : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 09 Jul 2024   Tuesday

আদালতের মাধ্যমে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার রাঙামাটিতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারলিপি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া একই দাবীতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বর সামনে চাকমা সার্কেলের প্রথাগত প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ানের সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্যে দেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান,আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান এসোসিয়শনের রাঙামাটি সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, কালাপাকুজ্জ্য হেডম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সিএইচটি হেডম্যান এসোসিয়শনের সাধারন সম্পাদক শান্তিবিজয় চাকমা। মানবন্ধনে বিভিন্ন শ্রেনীর কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যেম প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, আগামী ১১ জুলাই উচ্চতর আদালতের মাধ্যমে রাষ্ট্রের একটি অংশ সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে। এটি বাতিল করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রীতিপ্রার প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পাশাপাশি পাহাড়ে প্রচন্ড আশান্তি সষ্টি হবে। পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তার ব্যাহত হবে, অরাজগতা দেখা দেবে। সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ শাসনবিধি বাতিল হলে পাহাড়ী জনগণের অনুভুতিতে মারাতœক আঘাত হানবে।

প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০, যা হিল ট্র্যাক্টস ম্যানুয়াল নামেও পরিচিত, যেটি কিনা ১৯ জানৃয়াারী ১৯০০ সালে কার্যকর হয়। তারপর থেকে এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশাসন সংক্রান্ত প্রধান আইনী দলিল হিসেবে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি এই প্রবিধানে বিভিন্ন বিধানসমূহ রয়েছে যা এই অঞ্চলের সুশাসন, ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ এবং এই অঞ্চলের জনগণের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সুরক্ষা এবং আন্তঃপ্রজন্মগত চর্চার জন্য অপরিহার্য। ২০০৩ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল এ. এফ. হাসান আরিফের আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের একটি বিভাগীয় বেঞ্চ ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে একটি ‘‘মৃত আইন’’ হিসাবে ঘোষণা করেন। পরবর্তীকালে এই প্রেক্ষিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শুনানি শেষে “পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০”- কে একটি সম্পূর্ণ “জীবিত ও বৈধ” আইন হিসেবে বলবৎ রাখেন। কিন্তু ২০১৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলার বসতি স্থাপনকারী, যথাক্রমে আব্দুল আজিজ আখন্দ এবং আব্দুর মালেক নামের দুই ব্যক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন, ১৯০০ বিষয়ক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে দুটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন। তাদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন তৎকালীন বিএনপি সরকারের পূর্বেকার নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব এ. এফ. হাসান আরিফ। উল্লেখ্য যে, রিভিশনকারী ব্যক্তিদ্বয় এ রেগুলেশন সংক্রান্ত উপরোক্ত মামলা সমুহে কোন পক্ষভুক্ত ছিলেন না। সাধারণ রীতি অনুসারে সরকারের অনুকূলে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া উক্ত রায়ের পক্ষে বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেলের অবস্থান গ্রহণ করার কথা। কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি ‘ রাজা’ আদিবাসী’’ শব্দসহ আরো কিছু শব্দ ও বাক্যাংশ বাদ দেওয়াসহ প্রথাগত আইনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা সম্বলিত সর্বমোট দশটিরও অধিক অনুচ্ছেদ বাদ দেয়ার জন্য আদালতের কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রার্থনা করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২৩ সালের ২৬ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সেই স্মারকলিপিতে সুপ্রিম কোর্ট এর আপিল বিভাগে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ সংক্রান্ত চলমান দুটি রিভিউ মামলায়, রেগুলেশন ও এতে স্বীকৃত আদিবাসীদের অধিকার সম্বলিত প্রচলিত আইন, প্রথা ও রীতির জোরালো ও চলমান কার্যকারিতার পক্ষে অবস্থান গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেলকে যথাযথ নির্দেশের প্রার্থনা জানান। গত ৯ মে মামলাগুলি শুনানির তালিকার শীর্ষে আসলে বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে আবারও তার পূর্বের আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শব্দসমূহ, বাক্যাংশ ও প্রথাগত আইনের অনুচ্ছেদসমূহ বাতিল করার জন্য প্রার্থনা করেন। স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ ও পরামর্শ প্রদান করে সংশ্লিষ্ট মামলাসমূহে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ এর পক্ষ অবলম্বন করেন, যার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনমানুষের অধিকার রক্ষিত হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৯৯৭ এর শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়া যায় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ সমগ্র দেশের বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ