পাহাড়ী নারী পাচার অভিযোগের মামলায় গ্রেফতার মামিয়া তালুকদারসহ তিনকে বৃহস্পতিবার রাঙামাটির আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতের বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে,মানব পাচারের মামলার অভিযোগে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে ঢাকার বসুন্ধরা ও উত্তরা আবাসিক এলাকা অভিযান চালায় পুলিশ। এতে মামলার এক নম্বর আসামী ও মানবপাচার চক্রের সংঘবদ্ধ দলের প্রধান সজীব চাকমা (২১), পিতা দেবাশীষ চাকমা, বরকল উপজেলা ঠেগা, দুই নম্বর আসামী ও সজীব চাকমা আপন বোন জ্যাসি চাকমা (২৩) ও তিন নন্বর আসামী মামিয়া চাকমা (২১), পিতা কৃতি চাকমা, খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা বাবুছড়া ইউনিয়ন, কিয়াংঘাটকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম কাউসার পারভিন আদালতে তোলা হয়। এতে বিচারক তিন জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জেলা রাঙামাটির পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে মানবপাচার সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যসহ মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা ও মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। যুবতিকে ১৯ জুন রাঙামাটি থেকে গাড়ীতে করে প্রথমে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। পরে ঢাকার বসুন্ধরা ও উত্তরা আবাসিক এলাকায় নিয়ে আটক করে রাখে যুবতিকে। যুবতিকে চীন কিংবা অন্য যে কোন দেশে পাচার করে দেওয়ার উদ্দেশ্য আটক করে রাখে মানবপাচার চক্রের সংঘবদ্ধ দলটি।
উল্লেখ্য, বাঘাইছড়ি উপজেলার সার্বোয়াতলী ইউনিয়নের খাগড়াছড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও রাঙামাটি সরকারী কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষে পড়–য়া এক যুবতি নিখোজের ঘটনায় গত ২৪ জুন যুবতির বাবা বাঘাইছড়ি থানায় একটি নিখোজের সাধারন ডায়েরি করেন। পরে বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের একটি দল ২৫ জুন ঢাকার উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর সড়কের একটি বাড়ী থেকে যুবতিকে উদ্ধার করে রাঙামাটি নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর ওই যুবতি নিজেই বাদী হয়ে গত ২৭ জুন বাঘাইছড়ি থানায় মানব পাচার মামলা দায়ের করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.