সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা উপলক্ষে রাঙামাটি তবলছড়ি শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দিরে উদযাপিত হয়েছে দুইদিন ব্যাপী নামযজ্ঞ ও দোল মহোৎসব। সোমবার ভোর থেকেই পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
দোল উৎসবে দেশের ৪টি স্থানের কীর্তনীয়া দলের নাম কীর্তনের মধ্য দিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের স্মরণ করছেন ভক্তরা। রাধা ও কৃষ্ণকে আবির লাগিয়ে দোলায় চড়িয়ে ভক্তরাও নিজেদের মধ্যে আবির নিয়ে মেতেছেন রঙ খেলায়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রী কৃষ্ণ আবির খেলায় মেতেছিলেন রাধিকা ও গোপীদের সাথে। ধারণা করা হয় সে থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। আর সেই ধরাণাকে লালন করেই রঙের খেলায় মাতেন সনাতন ধর্মালম্বীরা।
দোলের ইতিহাসঃ দোলযাত্রা একটি হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। বহির্বঙ্গে পালিত হোলি উৎসবটির সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সহিত রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.