পার্বত্য এলাকার মেধাবী শিক্ষিত যুব সমাজকে গড়ে তুলতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ শিক্ষা বৃত্তি চালু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।
তিনি বলেন, পরিষদ হতে বৃত্তির টাকা পাওয়াটা বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে বৃত্তি একটি জ্ঞান ও মেধার অমূল্য সম্পদ। আর এ সম্পদের তালিকায় তোমরা যুক্ত হয়েছো। শিক্ষাকে যথাযথভাবে সুব্যবহারের মাধ্যমে আগামীতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার রাঙামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিষদ শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এ কথা বলেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফি উল্লাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ কামাল উদ্দিন, জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, আগামী দিন গুলোতে রাজনীতিতেও কোন অশিক্ষিত লোকের স্থান হবে না। আপনি যত শিক্ষিত হবেন তখন আপনা আপনি বলে দেবে আপনি কোথায় যাবেন। তাই শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, রাঙামাটি জেলা পরিষদ যে শিক্ষা বৃত্তি চালু করেছে তা আগামী দিন গুলোতে আরো বাড়ানো গেলে আরো বেশী ছাত্র ছাত্রী এই বৃত্তি গ্রহণ করতে পারবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সহ সকল সম্প্রদায়ের ছাত্র ছাত্রীদেরকে শিক্ষিত করে তুলতে বর্তমান সরকার স্কুল বিহীন এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর ছাত্র ছাত্রীরা যাতে মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তার জন্য মাতৃভাষার বই বিতরণ সহ শিক্ষার বিস্তারে নানামুখী উদযোগ গ্রহণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন দীপংকর তালুকদার।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জেলা পরিষদ প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করে ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ প্রদান করছে। এই বৃত্তিতে কোন প্রকার আত্মীয়করণ ও দলীয় করণের সুযোগ নেয়া হয়নি। মেধার ভিত্তিতে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীকে তার শিক্ষা বিস্তারে আরো উৎসাহিত করে তোলার জন্য জেলা পরিষদ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, এই বৃত্তির টাকা অল্প হলেও এই টাকা দিয়ে তারা যাতে কিছুটা নিজের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পরিষদ।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জন্ম শত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রথম বারের মতো একটি বৃত্তি চালু করেছে। আগামী ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকীতে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তদের সংখ্যা হলো উচ্চ মাধ্যমিক ৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ জন, ডিপ্লোমা ছাত্র ছাত্রীদের ৫ হাজার টাকা করে ২৫ জন,স্নাতক শিক্ষার্থীদেরকে ৮ হাজার টাকা করে ২৫ জন, স্নাতক (সম্মান) ৮ হাজার টাকা করে ২৫ জন, মেডিকেল, প্রকৌশল ও কৃষি শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে ২৫ জন, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে ২৫ জন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.