প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে সকল শিক্ষার ভিত্তি। এই ভিত্তিকে মজবুত করতে পারলেই ২০৪১ সালের উন্নত, সমৃদ্ধ ও মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে দেশের উন্নয়নে যে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে, শিক্ষার ক্ষেত্রেও সেরকম পরিবর্তন আনতে হবে। তার জন্য শিক্ষকদের প্রতিটি শিক্ষার্থীদের নিজ সন্তানের ন্যয় শিক্ষাদান করতে হবে। তবেই এদেশ দ্রুত একটি শিক্ষিত জাতি পাবে।
শনিবার রাঙামাটি প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ডিপিএড কোর্সের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ সারওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম, রাঙামাটি প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষক ফার্থ চৌধুরী ও রাবেয়া আক্তার প্রমূখ।
এর আগে ফিতা কেটে রাঙামাটি প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের শহীদ মিনার উদ্বোধন ও গাছের চারা রোপন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও অন্যান্য অতিথিরা। পরে ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ২০২১ সালে দেশকে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলে শিক্ষিত জাতি, আর সেই সমাজ ও জাতি দেশকে নিয়ে যায় উন্নত স্তরের দিকে।
পরিষদ চেয়ারম্যান ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফরের জন্য পরিষদ থেকে আর্থিক সহায়তা ও শহীদ মিনারের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন এবং ইন্সটিটিউটে বেঞ্চ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.