পাহাড়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পানির সংকট মেটাতে বিদ্যমান পানির উৎসগুলো সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে নেয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নেয়া উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সহায়তা করছে ইউনিসেফ।
এ লক্ষ্যে তিন পার্বত্য জেলায় পরিচালিত হচ্ছে, জেলা পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি সভা। এরই মধ্যে ১৯সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে জেলা পরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে অ্যাডভোকেসি সভা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সুপেয় পানির অভাব মেটাতে পাহাড়ে বিদ্যমান পানির উৎসগুলো সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ‘টেকসই সামাজিক সেবাদান’ নামে একটি প্রকল্প। প্রতি বছর শুস্ক মৌসুমে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যায়। এতে খাবার পানির পাশাপাশি সংকট দেখা নৌ চলাচলে। দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় লোকজন। কাপ্তাই হ্রদের তলদেশে পলি জমতে জমতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রত্যেক বছর শুস্ক মৌসুমে দেখা দেয় খাবার পানির সংকট।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবাদান প্রকল্পের পরিচালক ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেন, পাহাড়ে বিদ্যমান পাহাড়ি ঝিরি, ঝরনা ও ছড়াগুলো দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাবার পানির সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। সংকট মোকাবেলায় এসব পানির উৎস সংরক্ষণ ও উন্নয়ন ছাড়া বিকল্প নেই। তাই পাহাড়ের পানির উৎসগুলো খুঁজে বের করে সেগুলোর সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে পাহাড়ে বিদ্যমান পানির উৎসগুলো খুঁজে বের করার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা যুগোপযোগী পদক্ষেপ। প্রকল্পটির মাধ্যমে পাহাড়ি ছড়া ও ঝরনার উৎসগুলো সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পানি সংকট দূর করা সম্ভব। পার্বত্য জেলা পরিষদ এ কাজে সহযোগিতা করবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.