রাঙামাটি ২৯৯ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, বর্তমান সরকারই দেশের ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করেছে। দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে সরকার শিক্ষার উপর সবচে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, একটা জাতিকে সুস্থভাবে গড়ে তুলতে হলে শিশুকাল থেকেই শিক্ষা দিয়ে তার ভিত্তিটাকে মজবুত করে গড়ে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে সরকার বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষাবৃত্তি, অবকাঠামো নির্মাণ, স্কুল জাতীয়করণ’সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করছে।
শনিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ৩কোটি ৩০লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪তলা বিশিষ্ট রাঙ্গামাটির শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের একাডেমিক ভবন-২ এর উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেন।
শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুজিবুল আলম বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজর প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী। এর আগে শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের নব নির্মিত একাডেমিক ভবন-২ এর ফলক উন্মোচন ও ফেস্টুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪সালে রাঙামাটিতে এসে এখানকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু স্কলারশীপ চালু করেছিলেন। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেটি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তিতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে আবারো শিক্ষা বৃত্তি চালু করে এবং এখনও চালু রয়েছে। পাশাপাশি জেলা পরিষদের মাধ্যমে এখানকার সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মীদের সহায়তা করে যাচ্ছে। এতেই বুঝা যায় আওয়ামীলীগ সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে বলেন, আগামীতে এখান থেকে গোল্ডেন জিপিএ অর্জন করতে পারলেই মনে করবো সরকার শিক্ষাখাতে যে বিনেয়োগ করছে তা স্বার্থক হয়েছে। এজন্য তিনি শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় আরো মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, অভিভাবকরা সন্তানদের নিজেদের ভবিষ্যৎ মনে করলে হবেনা তারা আমাদের সমাজ-দেশ তথা জাতির ভবিষ্যৎ। তাই তাদের মানসম্মত শিক্ষা গ্রহনে শিক্ষক অভিভাবকদের গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষিত জাতিই পারে দেশকে উন্নয়নের সর্বশিখরে পৌছে দিতে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশ করতে হলে সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। এই সোনার মানুষ আকাশ থেকে বা মাটি থেকে উঠে আসবেনা। এই সোনার মানুষ তৈরীর কারিগর হচ্ছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকরা। উত্তম শিক্ষকরাই পারে উত্তম মানুষ তৈরি করতে। তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে শিক্ষকরা যদি দেশ প্রেম ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে শিক্ষার উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.