পতাকা আর কারও হাত দিয়ে উঠাতে নামাতে হবে না। পতাকা উঠানামা করবে নিজেই। সূর্য্য উঠলেই উঠবে আর ডুবলেই নামবে নিজে। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক উপায়ে সৌরশক্তির সহায়তায় বৈদ্যুতিক পদ্ধতির মাধ্যমে এমন অভাবণীয় উদ্ভাবনটির আবিস্কার করেছেন, রাঙামাটির মংসি মারমা (৪০)। চিংসৈমং মারমার ছেলে মংসি মারমার বাড়ি রাঙ্গামাটি সদরের বনরুপা শহরে।
তিনি বলেন, তার মূল পেশা চিত্র শিল্পকর্ম। নিজেও ছবি আঁকেন আর শিক্ষার্থীদেরও শেখান। এর আগে অন্যতম চিত্রাঙ্কন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাঙামাটি চারুকলা একাডেমিতে চাকরি করতেন। বর্তমানে নিজস্ব একাডেমিতে ছবি আঁকা শেখান তিনি। এর পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। এর আগের গবেষণায় বৈজ্ঞানিক উপায়ে সৌরশক্তির সহায়তায় একসঙ্গে সংযুক্ত যতগুলো বৈদ্যুতিক ভাল্ব নিজে নিজে নেভা-জ্বলার পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন। যা স্থাপন করা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারে। মূলত তার ওই উদ্ভাবন থেকেই এবার পতাকা নিজে নিজে উঠানামার উদ্ভাবনটি আবিস্কার করলেন মংসি মারমা। কিন্তু প্রচার ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তার আবিস্কার এসব উদ্ভাবন কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
তিনি জানান, বৈদ্যুতিক পদ্ধতির মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক উপায়ে পতাকা নিজে উঠানামার উদ্ভাবনটি আবিস্কার করেছেন। এতে প্রয়োগ করেছেন, সোলার প্যানেল বা সৌরশক্তির যন্ত্র। সোলার প্যানেলটির নিয়ন্ত্রণেই সূর্য্য উঠলে পতাকাটি নিজেই উঠবে, ডুবলে সঙ্গে সঙ্গে নামবে। তার মতে, নিজের উদ্ভাবিত আবিস্কারটি কাজে লাগালে দেশের জন্য অসামান্য অবদান রাখা সম্ভব। এতে যেমন অর্থনৈতিকসহ বিপুল সুবিধার সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি ভাবমূর্তি ও সুনাম অর্জিত হবে বাংলাদেশের। তাই তার উদ্ভাবনটি কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, সুপ্ত বিজ্ঞানি মংসি মারমা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.