সেতু নির্মিত না হওয়ায় বাশের সাকো দিয়ে ঝুকি নিয়ে রাঙামাটির বিলাইছড়ি পাড়ার কমলমতি শিক্ষার্থীসহ পাড়াবাসীকে পাড়াপাড় করতে হচ্ছে।
জানা যায়, রাঙামাটি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যে বিলাইছড়ি পাড়াটি। এ পাড়ায় বর্তমানে ১০৫ পরিবারের বসবাস রয়েছে। পাড়ার মাঝখানে সড়কে নিচু স্থান হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের সময় কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেলে সেই স্থানটি পানিতে ডুবে যায়। তখন পাড়াবাসীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করে। পাড়াবাসীরা দীর্ঘ দিন ধরে কর্তৃপক্ষের কাছে এই নিচু স্থানে একটি সেতু নির্মানের দাবী জানিয়ে আসলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তাই প্রতিদিন পাড়াবাসীসহ বিলাইছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমলমতি শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে বাশের সাকো তৈরী করে ঝুকি নিয়ে পাড়াপাড় করতে হচ্ছে।
পাড়াবাসীরা জানান, পাড়ার সাথে একমাত্র যোগাযোগের সড়কের নিচু স্থানটি পানিতে ডুবে যাতায়াতে ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে। বাশের সাকো দিয়েপাড়াপাড় করতে তাদের ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। দীর্ঘ দিন ধরে সেতুর নির্মাণের জন্য দাবী জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবায়নের আলোর মূখ দেখেননি এখনো। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে সেতু নির্মানের দাবী জানান।
বিলাইছড়ি পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিপু শ্রিং লেপসা জানান, ঝুকিপূর্ন বাশের সাকো দিয়ে তাদের এবং শিক্ষার্থীদের পাড়াপাড়ে ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে। তাই পাড়াবাসীর দুঃখ লাগবের জন্য দ্রুত সেতু নির্মাণ করা দরকার।
রাঙামাটি পৌর সভার ৫ নং ওয়ার্ডের কমিশনার বাচিং মারমা জানান, গেল অর্থ বছরে বিলাইছড়ি পাড়ার নিচু স্থানে যেখানে পানি উঠে সেখানে গার্ড ওয়াল দিয়ে মাটি ভরাট করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার না থাকায় তা বাস্তবায়ন হয়নি। পৌর প্রকৌশলীর মনে আসে। আশা করছি এ বছরে মধ্যে এর কাজ সম্পন্ন হবে।
রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন,এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে দেখবেন। জনগনের দুর্ভোগ লাগবের জন্য তার অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করবেন। দুর্গম এলাকায় কোন কোন স্থানে সেতু দরকার তা খতিয়ে দেখে মন্ত্রনালয় গিয়ে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য চেষ্টা চালাবেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.