কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়ে বেনবেইস এর অর্থায়নে রাঙামাটি জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ৪ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট এক তলা ভবনের ভোকেশনাল ভবন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল কাজ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল সাংবাদিকদের জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিন বিকেলে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, ছাদ ঢালাইর পরও অনেক অংশ নিচের দিকে দেবে গেছে। ছাদছুয়ে পানি পড়ছে এবং ছাদের নিচের কয়েক ইঞ্চি কলাম বেকে গেছে। তড়িগড়ি করে প্লাস্টিক বেঁধে জোড়াতালি দিয়ে প্লাস্টার অংশকে ঢেকে দেবার চেষ্টা করা হয়েছ। তাই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে ফোনে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়সীম বড়ুয়া এ প্রতিবেদককে জানান, রবিবার দুপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির আহমেদ এবং বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেলসহ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন কালে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে কয়েক জায়গায় ছাদ ছুয়ে পানি পড়তে দেখা যায় এবং পিলার বাঁকা অবস্থায় পাওয়া যায়। সাথে সাথে নির্বাহী কর্মকর্তা কাজ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এই বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে, নির্মাণ কাজের দায়িত্বরত রাঙামাটি জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: মোস্তফা জানান, বৃষ্টির কারনে মাটি দেবে নরম হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারা সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্কুল পরিদর্শনে যাবেন। ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন এই ভবনের নির্মাণ কাজের অনিয়মে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.