সুবলং এ দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত সংস্কারপন্থী জেএসএস`র কর্মীর লাশ উদ্ধার

Published: 27 Jun 2019   Thursday   

বৃহস্পতিবার রাঙামাটির বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের আমবাগান এলাকায়  এমএন লারমা গ্রুপের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির(সংস্কারপন্থী) ও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোকো চাকমা(২৬) নামের এমএন লারমা গ্রুপের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির(সংস্কারপন্থী) এক কর্মী পানিতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজের বিকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ মুক্তিবীর চাকমা ও মোহন্ত চাকমা  নামের দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর  ছেড়ে দিয়েছে বলে জানান সুবলং ইউপি চেয়ারম্যান তরুন জ্যোতি চাকমা। 

 

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে রাঙামাটি শহর থেকে  একটি কংকর বোঝায় দুটি  ট্রলার সুবলং বাজার হয়ে লংগদুর উদ্দেশ্য যাচ্ছিল। এ সময় এমএন লারমা গ্রুপের জনসংহতি সমিতির(সংস্কারপন্থী) সদস্যরা সুবলং বাজারের মাজারের ঘাটে  ভিড়ানোর জন্য নির্দেশ দেয়। এতে চালক ট্রালার বোট না থামিয়ে চলে যায়। পরে সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতির সদস্যরা দুটি স্পীড বোট নিয়ে দুটি ট্রলারে বোটকে  ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ওই দুটি ট্রলার বোটকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এসময় আমবাগান নামক এলাকায় ওৎ পেতে থাকা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির কর্মীদের সাথে অন্ততপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতির ষ্পীড বোট চালক কোকো চাকমা নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন।

 

এদিকে নিখোজের পর সন্ধ্যার দিকে সুবলং এলাকা থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানি থেকে কোকোর লাশ উদ্ধার করেছে। বর্তমানে লাশটি সুবলং পুলিশ ফাড়ির হেফাজতে রাখা হয়েছে। 

 

বরকল মডেল থানার ওসি মফজল আহম্মদ খান জানান, ঘটনার পর  নিখোঁজ ব্যক্তিকে তল্লাশির পর সন্ধ্যার দিকে কেকোর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

 

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত