রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য, অবিভক্ত চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী, সমাজসেবক, প্রবীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব এ কে এম হারিজ (প্রকাশ হারিজ চেয়ারম্যান) মঙ্গলবার ভোর ৩.৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন( ইন্না লিল্লাহি-- রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৯০ বছর।
তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মরহুম হারিজ চেয়ারম্যান ১৯৯০-৯১ সনে ৭ লক্ষ বৃক্ষরোপন করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট হতে স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন বলে তার ছেলে সারোয়ার হোসেন জানান।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৭ ছেলে ও ৩ মেয়ে রেখে যান। হারিজ চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবরে কাপ্তাইয়ের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সর্বস্তরের লোকজন ছুটে যান মরহুমের শিলছড়ির বাসভবনে এবং তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
ওইদিন বাদ আছর বিকেল ৫.৩০ মিনিটে শিলছড়ি মাঠে মরহুমের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ দিলদার হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দিন, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য প্রকৌশলী রুবায়েত আক্তার আহমেদ, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সভাপতি কবির হোসেন, উপজেলা মুুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাদাত হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেয়। পরে তাকে শিলছড়ি বড় মসজিদ সংলগ্ন কবর স্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে শোক বার্তায় রাঙামাটি পাবর্ত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা একে এম হারিছের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা ও বিদেহী আত্নার শান্তি কামনা করেছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.