বান্দরবান বাজার ফান্ড সংস্থার অধীন আলীকদম বাজারটি অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বাজার ফা- বিধিমালা লঙ্ঘন করে বাজার চৌধুরী নিয়োগের ফলে এ সংকটের সৃষ্টি বলে বাজার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। সরেজমিন দেখা গেছে, গেল ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহ পূর্ব হতে এ পর্যন্ত বাজারের ময়লা পরিস্কার করা হয়নি। ফলে সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে ময়লা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগের অন্ত নেই।
প্লট মালিক ও দোকানদারদের অভিযোগ বর্তমান বাজার চৌধুরী কোন দোকানদার কিংবা ব্যবসায়ী নন। তাই তিনি বাজারে অবস্থান করেন না। ফলে বছরের অধিকাংশ সময় বাজারের অলিগলি অপরিস্কার থাকে। একজনমাত্র সুইপার দিয়ে বাজারটি পরিস্কার রাখা যাচ্ছে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আলীকদম বাজারটি বান্দরবান বাজার ফান্ড সংস্থার অধীন ১ নম্বর গ্রেডের বাজার। উপজেলা সদরের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র এটি। বিধিমালা অনুযায়ী ‘বাজার চৌধুরী’র পোস্টটি একজন উপযুক্ত দোকানদার হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমান বাজার চৌধুরী নিয়োগের পর থেকেই বাজারের দোকানদার নন। চৌধুরী পিতার উত্তরাধিকার সূত্রেই ‘বাজার চৌধুরী’ পদটি তিনি পেয়েছেন।
বাজার চৌধুরী কে হতে পারবেন এ সংজ্ঞা রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাজার ফান্ড বিধিমালা (১৯৩৭) এর ১০নং ধারায়। তাতে বলা উল্লেখ আছে, ‘সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যদার নীচে নহেন এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তা, ফরেস্টার পদমর্যদার নীচে নহেন এমন একজন বন কর্মকর্তা, হেডম্যান কিংবা উপযুক্ত কোন দোকানদারকে বাজার চৌধুরী হিসেবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।’
আলীকদম বাজারের প্লট মালিক ও সাবেক একজন ব্যবসায়ী হাফেজ আব্দুল মান্নান দীর্ঘদিন ধরে বাজারের অলিগলিতে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব একটু পত্রিকায় তুলে ধরুন। আলীকদম বাজারের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও সাবেক সভাপতি নাছির উদ্দিন বলেন, বাজারে একজনমাত্র সুইপার আছেন। তিনি অসুস্থ। বাজারের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা দেখার মূল দায়িত্ব চৌধুরীর। তিনি এ ব্যাপারের চৌধুরী থেকে জিজ্ঞেস করার পরামর্শ দেন।
জানতে চাইলে বাজার চৌধুরী আবু বক্কর বলেন, আলীকদম বাজারে তিনজন সুইপারের স্থলে নিয়োগ আছে একজন। সেও অসুস্থ। এ কারণে বাজার নিয়মিত পরিস্কার করা যাচ্ছে না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.