তিন পার্বত্য জেলায় জাতীয়করণকৃত ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের চাকুরী জাতীয়করনের দাবীতে শনিবার রাঙামাটিতে সংবাদ সন্মেলন করেছেন ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে তিন পার্বত্য জেলায় জাতীয়করণকৃত কর্মরত শিক্ষকদের প্রতিনিধি ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন তিন পার্বত্য জেলায় জাতীয়করণকৃত কর্মরত শিক্ষকদের এ্যডহক কমিটির আহ্বায়ক অরুন কুমার তংচংগ্যা। এসময় কমিটির সদস্য সচিব প্রশান্ত ত্রিপুরা, সদস্য উসাহাই মারমা,সুতিল কুমার তংচংগ্যা, শ্যামল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতায় ইউএনডিপি-সিএইচটিডিপি প্রকল্পের সহায়তায় স্থাপতি ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী সরকার জাতীয়করণের ঘোষনা করলেও দুই বছর অতিবাহিত হলেও ওইসব বিদ্যালয়ের ৮৪০ জন শিক্ষকদের চাকুরী জাতীয়করণ করা হয়নি। এইসব বিদ্যালয়ে ১২ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। তবে ২০১৪ সাল পর্ষন্ত ইউএনডিপি-সিএইচটিডিপি প্রকল্পটি চালু থাকাকালে ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতনভাতাদি পেলেও দীর্ঘ চার বছর ধরে কোন বেতনভাতা না পাওয়ায় বর্তমানে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সংবাদ সন্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অবিলম্বে তিন পার্বত্য জেলায় জাতীয়করণকৃত ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৮৪০ জন শিক্ষকদের চাকুরী জাতীয়করনের গেজেট প্রকাশের দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সন্মেলনে শিক্ষকরা নেতারা জানান, ২০০৮ সালের দিকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতায় ইউএনডিপি-সিএইচটিডিপির প্রকল্পের মাধ্যমে ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে রাঙামাটি জেলায় ৮১টি, খাগড়াছড়িতে ৪৯টি ও বান্দরবানে ৮০টি চালু করেছিল। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৪ সাল পর্ষন্ত শিক্ষকরা বেতন ভাতা পেয়েছিলেন। সকরার এসব বিদ্যালয়কে জাতীয়করনের পর থেকে শিক্ষকরা আর কোন বেতন ভাতা পাচ্ছেন না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.