রাঙামাটিতে দশদিন ব্যাপী সৃজনশীল চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রশিক্ষণ কর্মশালা বুধবার সমাপ্ত হয়েছে।
রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট হল রুমে সমাপনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক রুনেল চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কবি ও সাহিত্যিক মৃত্তিকা চাকমা, চলচ্চিত্র পরিচালক, কর্মশালার প্রশিক্ষক রাজিবুল হোসাইন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিভায়ন চাকমা। আলোচনা সভা শেষে ৩০ জন প্রশিক্ষনার্থীদের সনদপত্র বিতরন করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাজিবুল হোসাইন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে ক্ষুদ্র জাতি সত্ত্বার সংস্কৃতি বিকাশে চলচ্চিত্র নির্মানের মাধ্যমে সম্ভব। তবে পার্বত্য তিন জেলাতে বিভিন্ন ফিল্ম,শর্ট ফিল্ম নির্মান করে প্রদর্শনীর মাধ্যেমে বাস্তবচিত্র ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। আমরা দশদিনের প্রশিক্ষনে যে দুইটা শর্টফিল্ম শুটিং করেছিলাম সেগুলোর শুটিং যথা সময়ে শেষ করতে না পারা এবং সবাইকে ভিডিও ইডিটিং করে সেগুলো দেখাতে না পারা হচ্ছে আমার ব্যর্থতা। তবে সেগুলো পরে দেখানোর চেষ্টা করা হবে বলে তিনি প্রশিক্ষনার্থীদের আশ্বাস দেন।
মৃত্তিকা চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক ফিল্ম,শর্ট ফিল্ম নির্মান করা হচ্ছে। তবে সে সব ভিডিও গুলো তেমন মান সম্মত নয়। মান সম্মত না হওয়ার কথা। কেননা পার্বত্য চট্টগ্রামে সেধরনে ফিল্ম নির্মানে কোন প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ছিলো না। আশা রাখি এখান থেকে শিখে ভবিষ্যতে মান সম্মত ফিল্ম নির্মানে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এবং এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মিডিয়া কমিনিউকেশন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ১ মে থেকে দশদিন ব্যাপী চলচ্চিত্র প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এতে তিন পার্বত্য জেলা থেকে উদীয়মান সাংস্কৃতিক কর্মী অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন হিলর প্রোডাকশনসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা,মারমা,ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.