রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের নাইক্যছড়ি এলাকায় গেল রোববার রাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ক্যহ্লাচিং মারমা নামের ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা নিহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের নাইক্যছড়ি এলাকায় নিজ বাড়ীতে গেল রোববার রাত ১১টার দিকে ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ক্যহ্লাচিং মারমা রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথাবার্তা বলছিলেন। এসময় একদল দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে ক্যহ্লাচিং মারমাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ক্যহ্লাচিং এর মৃত্য হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। আজ সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। তবে কারা এ ঘটনা ঘটনা ঘটিয়েছে তিনি জানাতে পারেননি।
এদিকে, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মূছা মাত্বব্বর এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের অতিদ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। তবে জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক নীলোৎপল খীসা এ ঘটনার সাথে তার সংগঠন জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জনসংহতি সমিতির কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। জনসংহতি সমিতিকে যে দোষারুপ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
উল্লেখ্য, গেল শনিবার রাতে পাশ্ববর্তী এলাকা ও জেলা বান্দরবান সদর উপজেলার রাজভিলা এলাকায় দুর্বৃত্তরা বড় ভাইকে না পেয়ে ছোট ভাই ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা ক্যচিং থোয়াই মারমাকে গুলি করে হত্যা করে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.