শনিবার রাঙামাটিতে বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বুদ্ধ পূর্নিমা(বৈশাখী পূর্নিমা) উদযাপিত হয়েছে। তবে জঙ্গী হামলার হুমকিতে বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে পূর্নার্থীর উপস্থিতি কম থাকলেও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়াকড়ি নিরাপত্তা জোরদার ছিল।
সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্নাঢ্য ধর্মীয় র্যালী প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি রাজ বন বিহার প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীর নেতৃত্ব দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা।
পরে রাজ বন বিহার মাঠে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্ম দেশনা দেন রাজ বন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ও ইন্দ্রগুপ্ত মহাস্থবির। এসময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, পাার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, রাজ বন বিহার পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বুদ্ধ পূর্নিমা উপলক্ষে শহরের মৈত্রী বিহারে ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়। এতে ধর্ম দেশনা দেন মৈত্রী বিহারের অধ্যক্ষ পূর্ণজ্যোতি মহাথোরো, ত্রিপিটক বিশারদ পঞ্রাদীপ মহাথেরো। বক্তব্যে দেন মৈত্রী বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি দেবী প্রসাদ দেওয়ান ও সাধারন সম্পাদক মঙ্গলচন্দ্র চাকমা। এর আগে পঞ্চশীল, অষ্টশীল প্রার্থনা,বুদ্ধ পূজাসহ নানাবিধ দান অনুষ্ঠান করা হয়।
অপরদিকে,জঙ্গী গোষ্ঠীর হামলার হুমকির ভয়ে রাঙামাটিতে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পুর্ণিমা অনুষ্ঠানে পুণার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। তবে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন জঙ্গী হামলার হুমকিতে রাঙামাটি রাজ বনবিহার, মৈত্রী বিহারসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে আইন-শৃংখলা বাহিনীর ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এতে বৌদ্ধ বিহারে প্রবেশের আগে আগত পূনার্থীদের লোকজনদের ব্যাগ তল্লাশী করে প্রবেশ করানো হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.