কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা থানার রাইখালীতে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান সায়ামং মারমা ও চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকেলে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে রাঙামাটি অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাবরিনার আদালত জামিন আবেদন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আটক সায়ামং জনসংহতি সমিতিরর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও খ্যাইসা অং উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আমির হোসেন জিয়া তাদের কারাগারে পাঠানোর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাইখালী ইউনিয়নে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় এজাহারভুক্ত এ দুই আসামী আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেন, “শুনেছি রাইখালীর ডাবল মার্ডারের ঘটনায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি অফিসিয়ালী জানাতে পারেননি। তারা দুজনেই ডাবল মার্ডারের ঘটনার এজাহারভুক্ত আসামী বলে তিনি জানান।”
কাপ্তাই উপজেলার ইউএনও আশ্রাফ আহমেদ রাসেলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “তাদের আটকের বিষয়টি আমি ও শুনেছি।”
উল্লেখ্য, গেল ৪ ফেব্রুয়ারী কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানাধীন রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় মংসানু মারমা (৪০) ও মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন (২২)। এ ঘটনার পরদিন নিহত মংসানু মারমার শ্বশুর আপ্রু মারমা বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত নামা ১০ থেকে ১৫ জন কে আসামী করে চন্দ্রঘোনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী ছিলেন, রাইখালী ইউপি চেয়াম্যান সায়ামং মারমা ও চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা। এ ঘটনায় নিহতদের নিজের কর্মী দাবী করে হত্যা কান্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ। এছাড়া হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে রাইখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ রাইখালী-রাজস্থলী-বান্দরবান সড়কে দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচী পালন করে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.