মাদক,ইভটিজিং ও জঙ্গিবাদে সরকার জিরো টলারেন্সে আছে।এসব কর্মকান্ডে জড়িতদের কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
গেল মঙ্লবার কাপ্তাই কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম কর্তৃক এক আলোচনা ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(কাপ্তাই সার্কেল) জুনায়েত কাউসার একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সমাজে আজ মাদক,ইভটিজিং,জঙ্গিবাদ ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। মাদকের ছোবলে তরুন সমাজ আজ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইভটিজিংয়ের কারণে অনেক কিশোরী নির্যাতিতসহ মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে।আর ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এক শ্রেনীর শিক্ষিত যুবকদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। সমাজের এসব ব্যাধি প্রতিহত করতে পুলিশ বাহিনীর সাথে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতার প্রয়োজন। চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে আয়োজিত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোঃ নুর,ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম, আ`লীগ নেতা আবুল বশর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোঃ নুর বলেন, উপজেলায় ইভটিজিং ও জঙ্গিবাদের তেমন ঘটনা না ঘটলেও মাদক বিকিকিনির তৎপরতা রয়েছে।এলাকার কাপ্তাই ও চন্দ্রঘোনায় মাদক বিক্রেতা এবং সেবনকারীদের অপতৎপরতা রয়েছে। তিনি বলেন,মাদকের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন হার্ডলাইনে রয়েছে। কাপ্তাই থানায় যোগদানের পর হতে এপর্যন্ত মাদক দ্রব্য আইনে মোট ৪১ টি মামলা রুজু করা হয়েছে।এরমধ্যে ২২টি মামলা হয়েছে চন্দ্রঘোনায়।আর অবশিষ্ট মামলা গুলো হয়েছে সমগ্র উপজেলায়। তিনি বলেন,চন্দ্রঘোনা ইইনিয়নের মিশন এলাকা,ফকিরাঘোনা ও ছাদেকেরঘোনায় মাদক বিকিকিনি করছে যারা তাদের মধ্যে নুর ইসলাম,শুক্কুর জামালকে এলাকা ছাড়া করতে তথা আইনের আওতায় আনতে এলাকার ইউপি সদস্যসহ জনগণের সহযোগিত চেয়েছেন তিনি।
সভায় এলাকার জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক ও বিপুল সংখ্যক স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।তারা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অনিয়ম,আড্ডা,মাদক বিক্রি সম্পর্কে নিজ নিজ মতামতসহ বক্তব্য তুলে ধরেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.