সোমবার রাঙামাটিতে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রিজার্ভ বাজারস্থ অটোরিকশা চালক সমিতির স্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন)মো. ছুফি উল্লাহ। জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ টি আই মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের সবঅপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই নীতি বিকাশ দত্ত, বেসরকারি টিভি চ্যানেল আনন্দ টিভি ও দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এম.কামাল উদ্দিন ও অটোরিকশা চালক সমিতির সভাপতি পরেশ মজুমদার, অটোরিকশা চালক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিমসহ সংগঠনের সহ-সভাপতি কবির ড্রাইভার,দপ্তর সম্পাদক আবদুল খালেক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো.ছুফি উল্লাহ বলেন,পুলিশ শব্দটি শুনলে অনেকে অনেক রকম কথাবার্তা বলে। আসলে পুলিশ শব্দটি ব্রিটিশ আলম থেকেই পুলিশ নামেই রয়েছে। এই নামের পরিবর্তন কি হয়েছে? না হয়নি। কিন্তু পুলিশের কাজের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। পুলিশ নাগরিক নিরাপত্তায় কাজ করে। যেখানে মানুষ নিরাপত্তাজনিত অভাবে ভুগছে সেখানে পুলিশ সহায়তা দিচ্ছে। সরকার পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়ন করেছে। পুলিশ রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। তার পরও জনগণ পুলিশকে গালিগালাজ করছে। এটা হলো সচেতনতা ও মূল্যোবোধের অভাব। আসলে পুলিশই জনগণের বন্ধু।
তিনি আরো বলেন,সরকার পুলিশ বিভাগকে সারা দেশে ঢেলে সাজিয়েছেন। আজ পুলিশ বাহিনী আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে সন্ত্রাস দমন,ইয়াবা রোধ,চোরাচালান,মদ জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে সন্ত্রাসীদের ধরতে সক্ষম হয়েছে। সব কিছুর মূল কথা হলো জনগণ সচেতন হলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের কাজ করতে সহজ হয়। আপনারা যারা আছেন তারা সবাই চালক তাই সকলে বৈধ লাইসেন্স নিয়ে ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালান। আইনকে সম্মান করেন তাহলেই নিরাপদ সড়ক উপহার দেওয়া একেবারে সহজ। অটোরিকশা চালক অপহরণসহ তাদের মামলার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ট্রাফিক আইন মেনে চললে অটোচালকদের কোন সমস্যা থাকার কথা না। যারা গাড়ি চালান তারা একটু সচেতন হলে সকল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আর যাদের লাইসেন্স নেই তারা লাইসেন্স করে নিবেন। নিরাপদ সড়ক নিরাপদ গাড়ি চালাতে হলে অবশ্যই ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। আগামী এধরনের সচেতনতামূলক আলোচনা সভার প্রয়োজন আছে বলে বক্তারা মনে করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.