খাগড়াছড়ির পানছড়ি সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষতিপয় শিক্ষকের ষড়যন্ত্রমুলক সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে, শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাশ করার ও বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষক-অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা।
গেল ২৫ মার্চ কলেজ প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাহার মিয়া, যুগ্ম-সম্পাদক আবু তাহের, চিত্ত রঞ্জন চাকমা, সাজেই মারমা, আব্দুল আজিজ, তত্বদর্শী চাকমা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২৪ মার্চ খাগড়াছড়ি জেলা সদরে কিছু শিক্ষক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা সস্পুর্ন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমুলক। সরকারী বেতন প্রাপ্তির পরেও ছাত্রদের পাঠদান ও পরীক্ষা না নেওয়া এক ধরণের অনৈতিক কাজ। তারা আন্দোলরত শিক্ষকদেরকে ক্লাশ মুখী হওয়ার আজবান জানান।
অধ্যক্ষ সমির দত্ত চাকমা বলেন- কলেজটি সরকারী করণ করা হয়েছে। গেল বছর ৩১ জুলাই প্রকাশিত সরকারীকুত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা/২০১৮ এ উপ-ধারা-৯ মতে মতে সকল শিক্ষক-কর্মচারী কলেজ কলেজ সরকারী করনের তারিখ হইতে বেতন ভাতাদি প্রাপ্ত হইবেন। তাই উক্ত সরকারী করণের তারিখ হইতে শিক্ষক-কর্মচারীগণ কলেজ অংশ বেতন ভাতাদি পাচ্ছে না। কিন্তু এমপিও ভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিমাসে এমপিও র বেতন ভাতাদি নিয়মিত পাচ্ছেন। সরকারী বিধান মতে অবশিষ্ট বেতনগুলো দিতে চাইলেও তারা নেননি।
তিনি আরো বলেন,গেল ২০আগষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব নাছমা খানম বলেছেন জিও জারির পর কোনো শিক্ষককে কলেজ তহবিল থেকে বেতন বা বোনাস দেওয়া যাবেনা। তাদের চাকরী আত্তীকরণ হলে এরিয়ারসহ বেতন বোনাস পাবেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে ৭০লাখ টাকা আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে। তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক। চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ করার সময় চিকিৎসার কারনে আমি দেশের বাইরে ছিলাম। কলেজের সিনিয়র শিক্ষক শান্তিময় চাকমা ও তড়িৎ আলো তালুকদার বোর্ড কতৃক নির্ধারিত ফি তুলে কলেজ তহবিলে জমা দিয়েছেন। তাই টাকা আত্মসাৎ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক।
আন্দোলনরত অধ্যাপক শিবু নারায়ন পাল,রতœ কুসুম চাকমা, নজরুল ইসলাম, পাইম্রা সাং মারমা বলেন, আমাদের দাবী নিয়ে মাননীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত আবেদন করেও সাড়া পাইনি। কলেজের অংশ থেকে আমাদের সম্মানী দেওয়া হচ্ছে না। অথচ অধ্যক্ষ সাহেব ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাজ থেকে বকেয়া বেতন সহ পরিক্ষা ফি বাবদ ১৯ শত টাকা নিয়েছেন। আমাদের বেতন না দিয়ে অধ্যক্ষ ছাত্র- ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
আন্দোলনরত ক্লাশ বর্জনকারী শিক্ষকদের অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষাথীরা শিক্ষায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে কলেজে সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহবান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.