খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পাট পণ্য বস্ত্র ও হস্তশিল্প মেলায় অবৈধভাবে লটারী চালানোর দায়ে দু জনকে অর্থদ- দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। শহর জুড়ে অতিরিক্ত শব্দ দূষণ ও অনুমতি ছাড়া লটারী চালানোর দায়ে বুধবার রাতে মেলা প্রাঙ্গণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল কুমার হাওলাদার। একই সাথে শর্ত ভঙ্গের দায়ে মেলা বন্ধের নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অবৈধভাবে মেলা পরিচালনা করায় মেলা আয়োজনকারী সংস্থাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার রাতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও আইসিটি) আবুল হাশেম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেলা পরিচালনা করায় মেলা অংশগ্রহণকারী দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে আবুল হাশেম জানান, পাট পণ্য ও হস্ত শিল্পকে রক্ষা এবং প্রচার ও প্রসারের লক্ষে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭টি শর্ত উল্লেখপূর্বক ৬-৩-১৯ তারিখ থেকে ২০-৩-১৯ পর্যন্ত পাট পণ্য ও হস্ত শিল্প মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে পুনরায় সময় বর্ধিত করণের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩১-৩-১৯ তারিখ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। বিগত ২/৩ ধরে দেখা যাচ্ছে যে মেলার নামে লটারি বিক্রি করা হচ্ছে। যা প্রদত্ত শর্তের পরিপন্থী।
তিনি আরো জানান, আগামী ১ তারিখ থেকে এইচএসসি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ লটারির মাইকের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীদের বিঘœ ঘটাচ্ছে এই মর্মে অভিযোগ রয়েছে। এবং অনুমোদনহীনভাবে মেলায় লটারি বিক্রির কারণে মেলার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর হলেও মেলার নামে শব্দ দূষণ, লটারী, হাউজি এবং অশ্লীলতার বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দেখে খুশি খাগড়াছড়িবাসী। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন অনেকেই।
সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ কর্মকান্ডের জন্য মেলা বন্ধ করার হুশিয়ারী দেয়া হলেও মেলা কর্তৃপক্ষ বন্ধ করেননি। যার ফলে জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে মেলা বন্ধ করে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাসব্যাপী মেলা শুরু হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.