খসে পড়েছে পলেস্তারা। শ্রেণি কক্ষের রুলিং ভিমে ফাটল ধরেছে। তবুও আতংকের মাঝে ঝুঁকিপূর্ণ রুমে ক্লাশ করছেন ৫ শ্রেণির শিক্ষাথী অতুল চাকমা, চয়ন চাকমা, প্রমি চাকমাসহ ৭জন শিক্ষাথী। ক্লাশ পরিচালনা করছেন সহকারী শিক্ষক লাপ্রুচাই মারমা। খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার চেংগী ইউনিয়নের চেংগী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্রটি দেখা গেছে।
ভবন ঘুরে দেখা গেছে ভবনের চারিদিকে ফাটল ধরেছে। চারটি শ্রেণি কক্ষে খসে পড়েছে পলেস্তারা। শ্রেনি কক্ষের রুলিং ভিমে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। যেকোন সময় ধসে পড়ার আশংকার মধ্যেও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন শিক্ষক-শিক্ষাথীরা। বিদ্যালয়ে নেই বাউন্ডারি, নেই বিদ্যুৎ।
৫ম শ্রেণি শিক্ষার্থী রবিন চাকমা, রেখা চাকমা ও কেমি চাকমা চাকমা ভাষায় বলেন- স্যার আমি নিত্যো দোরেয় দোরেয় ক্লাশ গরিদে। উগুরেত্তুন বানা বালু, সিমেন্ট মাদাত পরেদে। ভিমুন ফাত্তোন। বেশ গরি ঝড়-বৈয়ের এলে দরে ক্লাশ গরি ন পারিয়।(স্যার আমরা সবসময় আতংকের মধ্যে ক্লাশ করি।উপর থেকে বালু,সিমেন্ট মাথায় পরে। রুলিং ভিম ফেটে গেছে। ঝড়-বৃষ্টি হলে ভয়ে ক্লাশ করতে পারি না)।
বিদ্যালয়ের অফিস সূত্রে জানা যায়-১৯৯৬ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। অধ্যাবধি কোনো সংস্কার করা হয়নি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুশোভন চাকমা বলেন এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অনেকবার বলা হয়েছে। এ ভবনটি সংস্কার করারও অযোগ্য হয়ে গেছে। শ্রেণি কক্ষ না থাকায় তবুও আতংকের মধ্যে শ্রেণি কার্যক্রম করতে হচ্ছে।
চেংগী ইউপি চেয়ারম্যান কালাচাঁদ চাকমা বলেন- এ ব্যাপরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে এবং উপজেলা সমন্বয় সভায়ও আলোচনা হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুজিত মিত্র চাকমা বলেন- স্কুলটি ৩তলা নতুন ভবন করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী অরুন কুমার দাশ বলেন- এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। আবেদন পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পানছড়ি উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম “দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ”কে বলেন- এ রকম ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি কার্যক্রম হচ্ছে তা আমি জানিনা। ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণ করার সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.