গেল ১২ ফেব্রুয়ারী রাঙামাটির বরকল উপজেলার সীমান্তবর্তী ঠেগা খুব্বাং বাজার অগ্নিকান্ডে ৩৬টি দোকান ও বসত ঘর পুড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক উপজেলা প্রশাসন ও ছোট হরিণা ১২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) উদ্যোগে কিছু নগদ অর্থ ও ত্রাণের সহযোগিতা করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারেরা জানিয়েছেন।
কিন্তু খুব্বাং বাজারে দোকান মালিকদের সাথে ভাড়া বাসায় থাকা খুব্বাং নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৯ জন ছাত্র- ছাত্রীর পাঠ্যবই শিক্ষার উপকরণ ও স্কুল ড্রেস সহ বিভিন্ন মালামাল আগুনে পুড়ে যায়। তার মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৬জন। সপ্তম শ্রেণীর ৭জন। অষ্টম শ্রেণীর ৮জন। নবম শ্রেণীর ৪জন। দশম শ্রেনীর ৪জন সহ ২৯ জন গরীব ছাত্র ছাত্রীর পাঠ্যবই আর শিক্ষার উপকরণ না থাকায় ওসব ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না। ফলে ওসব ক্ষতিগ্রস্থ গরীব শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র চাকমা।
খুব্বাং নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্থ দশম শ্রেণীর ছাত্র পাবেল চাকমা ছাত্রী জ্যোস্না চাকমা নবম শ্রেণীর ছাত্র মিঠুন চাকমা ও ছাত্রী রিপিকা চাকমা জানান- বিদ্যালয়টি খুব্বাং বাজারের পাশে হওয়ায় তারা প্রতি মাসে মাসিক ভাড়া দিয়ে খুব্বাং বাজারের বিভিন্ন দোকানদারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারী বাজারটি অগ্নিকা-ে পুড়ে যাওয়ার পর দোকান ও বসত ঘর পুড়ে গেলে সেই সাথে তাদের পাঠ্যবই শিক্ষার উপকরণ ও বিভিন্ন মালামাল আগুনে পুড়ে যায়। বই পুস্তক ও শিক্ষার উপকরণ না থাকায় তারা বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না। বর্তমানে তারা বাড়িতে রয়েছে। শুধু তারা নয় এরা সহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ২৯জন শিক্ষার্থীর একই অবস্থা বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সুলতান আহম্মদ জানান- অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের তালিকা করার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে। আর সেই তালিকা পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই বিতরন করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.