পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলার নারী আসনের বাঙ্গালী নারী এমপি না মনোনয়ন না দেওয়া তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম।
শনিবার পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের দপ্তর সম্পাদক,মো: পারভেজ আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এই প্রতিবাদ জানান।
প্রেস বার্তায় বলা হয়, বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নমিনেশনের কারনে তিন জনই উপজাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ৫১ শতাংশ বাঙালিদের প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতার সম-বন্টনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার একজন বাঙালি কে নমিনেশন দিলে আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক উন্নয়নের ¯েœাগানে একজন বাঙ্গালী এমপি নির্বাচিত হতেন। তবুও আমরা উন্নয়নের পক্ষে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে সাদরে গ্রহন করে ঐ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি। প্রতিনিধি বিহীন বাঙালিরা সরকারের কাছে ন্যায্য দাবী জানিয়েছিলেন একমাত্র সংরক্ষিত মহিলা আসন টি তে হলেও একজন বাঙালি এমপি দেওয়া হোক। এমন একটি গনদাবী কে উপেক্ষা করে সংরক্ষিত আসনটিতেও উপজাতীয় প্রার্থীকে নমীনেশন দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন পার্বত্য অধিকার ফোরাম, কেন্দ্রীয় সংসদ।
প্রেস বার্তায় আরো বলা হয়,পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে পিছিয়ে পড়া ৫১% বাঙালি জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত মহিলা আসনটিতে হলেও একজন বাঙালি কে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিতে হবে। কারন উন্নয়ন ও ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দু পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী, তিনজন এমপি,উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান,টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান, তিন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান,তিন সার্কেল চিফ, বিতর্কিত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন এবং তিন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সহ অন্যান্য সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ৯০% শতাংশের বেশি উপজাতীয় প্রতিনিধি। প্রতিনিধি বিহীন, পিছিয়ে পড়া বাঙালিদের এগিয়ে আনতে সরকারের কোন সুষ্পষ্ট উদ্দ্যোগ না থাকলেও বাঙালিদের ভোট ব্যতিত তিন পার্বত্য জেলায় আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী নির্বাচিত হয় না।
প্রেস বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-১৯৯৭ সই করার সময় বলেছিলেন পাহাড়ি-বাঙালি সকলের সম প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবেন। দশম জাতীয় সংসদে সুদৃষ্টির ফলে সংরক্ষিত মহিলা কোটায় একজন এমপি হয়েছিলেন। এর জন্য কৃতজ্ঞতা স্বরুপ নমিনেশন দেওয়ায় তিন উপজাতীয় প্রার্থীকেও আমরা নির্বাচিত করেছি। তাই একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত কোটায় সদ্য নমিনেশন পাওয়া প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে পাহাড়ের ৫১ শতাংশ বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একজন বাঙালি (মন্ত্রী পদ মর্যাদায়)কে এমপি করে সংসদে বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দাবী জানানো হয়েছে। অন্যথায় পাহাড়ের সকল পিছিয়ে পড়া, সাংবিধানিক অধিকার বঞ্চিত বাঙালিরা রাজপথে নেমে এসে তাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন বলে বিবৃতিতে হুমকি প্রদান করা হয় প্রেস বার্তায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.